Connect with us
ক্রিকেট

বিতর্কিত আইনেই বাংলাদেশের হার, বলছেন ওয়াকার ইউনুস

বাংলাদেশের হার প্রসঙ্গে ওয়াকার। ছবি- সংগৃহীত

ম্যাচের শেষ বল পর্যন্ত ফলাফল নির্ধারণ করা ছিল কষ্টসাধ্য। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে লো স্কোরিং ম্যাচে দুর্দান্ত লড়াই করে গেছে বাংলাদেশ। তবে শেষ ওভারে ১১ রানের সমীকরণ মেলাতে না পেরে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৪ রানে পরাজিত হয় টাইগাররা। এমন ক্লোজ ম্যাচ শেষে আম্পায়ারিং এবং আইসিসির বিতর্কিত নিয়ম নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ১১৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১০৯ রান পর্যন্ত তুলতে সক্ষম হয় টাইগাররা। এমন ম্যাচে আম্পায়ারের কিছু ভুল সিদ্ধান্ত ও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ডেড বলের নিয়মেই কপাল পুড়েছে বাংলাদেশ দলের এমনটাই মনে করছেন অনেকে। এবার আইসিসির এমন বিতর্কিত নিয়ম নিয়ে মুখ খুলেছেন পাকিস্তানি কিংবদন্তি পেসার ও জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার ওয়াকার ইউনুস।

গতকাল ম্যাচ শেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ ওয়াকার উল্লেখ করেছেন আইসিসির বিতর্কিত ডেড বল আইন বাংলাদেশের ম্যাচ হারে প্রভাব রেখেছে। তিনি তার করা পোস্টে লিখেছেন, ‘আম্পায়ারের এলবিডব্লিউ সিদ্ধান্তে বিতর্কিত ডেড বলের আইনটি বদলানো উচিত। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে লো স্কোরিং থ্রিলারে বাংলাদেশের ক্ষতি করে দিয়েছে এটাই।’

মূলত এদিন দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। ম্যাচের ১৭ তম ওভারে প্রোটিয়া পেসার ওটেনিল বার্টম্যানের একটি ডেলিভারি খেলতে গিয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের প্যাডে লাগে। পরবর্তীতে বল তার প্যাডে লেগে বাউন্ডারি লাইন অতিক্রম করে যায়। তবে বোলারের আবেদনের সাড়া দিয়ে সেটিকে এলবিডব্লিউ ঘোষণা করেন আম্পায়ার।

অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে রিভিউ নেয় মাহমুদউল্লাহ। দেখা যায় বলটি মিস করে যাচ্ছিল তার লেগ স্টাম্প। এতে করে আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী ডেট বল ঘোষণা করেন। এতে করে বল বাউন্ডারি লাইন অতিক্রম করে গেলেও লেগবাই হিসেবে ৪ রান পাওয়া হয়নি বাংলাদেশের। শেষ পর্যন্ত ৪ রানেই পরাজিত হয়েছিল টাইগাররা।

এলবিডব্লিউ এর বিপক্ষে মাহমুদউল্লাহর রিভিউ।

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে টাইগারদের প্রতিনিধি হিসেবে এসে আম্পায়ারিং নিয়ে নিজের হতাশা প্রকাশ করেছেন তাওহীদ হৃদয়। এছাড়া আইসিসির বিতর্কিত ডেড বলের আইন প্রসঙ্গে হৃদয় বলেন, ‘আইসিসি কী নিয়ম করেছে সেটা তো আমার হাতে নেই। কিন্তু ওই সময় ওই চারটা রান খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমাদের জন্য। আম্পায়াররাও মানুষ, ভুল হতেই পারে। তবে আমাদের আরও দুই-একটা ওয়াইড ছিল দেয়নি।’

এমন উইকেটে প্রতিটা রান কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা উল্লেখ করার সময় স্পষ্টভাবেই হতাশা ফুটে উঠছিল হৃদয়ের চোখে মুখে, ‘এখানে এমন ভেন্যুতে খেলা। রান হচ্ছে লো স্কোরিং ম্যাচ। সেই জায়গায় একটা দুটো রান অনেক বড় ফ্যাক্ট। আমার কাছে মনে হয়, ওই চারটা রান বা দুইটা ওয়াইড ক্লোজ কল ছিল। এমনকি আমার আউটটাও আম্পায়ার্স কল ছিল। এই জায়গাগুলো উন্নতি করতে হবে। আইসিসি যে নিয়ম করেছে, তাতে তো আমাদের হাত নেই।’

আরও পড়ুন: আম্পায়ারিং নিয়ে হৃদয়ের হতাশা প্রকাশ

ক্রিফোস্পোর্টস/১১জুন২৪/এফএএস

Click to comment

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Focus

More in ক্রিকেট