
একবার দুইবার নয়, চারবার জীবন পেয়েছেন ওপেনার সাইফ হাসান। খেলেছেন ৫১ বলে ৬৯ রানের দারুণ একটা ইনিংসও। কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে এই ইনিংস কাজে লাগলো না। ৪১ রানের হারে ফাইনালের অপেক্ষা বাড়লো টাইগারদের। অন্যদিকে ভারতের রাস্তা পরিষ্কারই হয়ে গেল।
দুবাইয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে টস হেরে আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান করেছে শুভমান গিলের দল। জাকের আলীদের দরকার ছিল ১৬৯ রান। কিন্তু ১২৭ রানেই শেষ হয় ইনিংস। দল হারে ৪১ রানে।
ভারতের ক্যাচ মিসের সুযোগ নিয়েও জিততে পারলো না বাংলাদেশ। সাইফ হাসান ছাড়া বাকি ১০ জনের কেউই ২০ বল টিকতেও পারেননি। সাইফ ৫১ বলে ৬৯, ইমন ১৯ বলে ২১ ছাড়া বাকিরা দুই অঙ্কেও পৌঁছাতে পারেননি। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৯ রান অতিরিক্ত খাত থেকে।
হতশ্রী ব্যাটিংয়ের ফলাফল হাতেনাতে পেল বাংলাদেশ। নিয়মিত অধিনায়ক লিটন দাস না থাকায় নেতৃত্বটা সুখকর হলো না জাকের আলীর। ভারতের হয়ে কুলদ্বীপ যাদব ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন। জসপ্রিত বুমরাহ ও বরুণ চক্রবর্তী ২টি করে এবং অক্ষর প্যাটেল ও তিলক ভার্মা একটি করে উইকেট পান।
এদিন প্রথম ১১ ওভারে ১১২ রান তুলেছিল ভারত। রানরেট ছিল ওভার প্রতি ১০.১০। উইকেট হারিয়েছিল মাত্র ২টি। কিন্তু ৯ ওভারে বাংলাদেশ বেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। ৪ উইকেট তুলে নিয়ে রান দিয়েছিল মাত্র ৫৬। এতেই ঝড়ো শুরুর পরও ১৭০ এর আগেই শেষ হয় ভারতের ইনিংস।
দুবাইতে টস জিতে বোলিং বেছে নিয়েছিলেন জাকের। নতুন বলে তানজিম ও নাসুম আহমেদও ভালো বোলিং করেছেন। ৩ ওভারে ১৭ করা ভারত পাওয়ার প্লের পরের ৩ ওভারে তুলে ৫৫ রান। ৬ ওভার শেষে কোনো উইকেট না হারিয়ে ভারত করে ৭২ রান।
সপ্তম ওভারে প্রথম আক্রমণে এসেই ব্রেকথ্রু এনে দেন রিশাদ। ফেরার আগে ১৯ বলে করেন ২৯ রান করেন শুভমান। নবম ওভারে তিনে নামা শুবম দুবেকেও (২) তুলে নেন রিশাদ।
দারুণ ফর্মে থাকা অভিষেক শর্মা ২৫ বলে ফিফটি ছুঁয়ে আরও আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির পথে এগোচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত রিশাদের দুর্দান্ত থ্রোতে স্টাম্প ভাঙেন মুস্তাফিজ। সাজঘরে ফেরার আগে ৩৭ বলে ৭৫ রান করেছেন এই ওপেনার।
ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব ৫ রানে মুস্তাফিজের বলে জাকেরকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। ৭ বলে ৫ রান করে সূর্যের পথে হেঁটেছেন তিলক ভার্মা। হার্দিক পান্ডিয়া এক প্রান্ত আগলে রেখে ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ২৯ বলে করেন ৩৮ রান। অক্ষর প্যাটেল ১৫ বলে অপরাজিত ১০ রানে।
বাংলাদেশের হয়ে ২৭ রানে ২ উইকেট নেন রিশাদ হোসেন। এ ছাড়া একটি করে উইকেট শিকার করেন মুস্তাফিজু, তানজিম সাকিব ও সাইফউদ্দিন।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৫সেপ্টেম্বর২৫/এজে
