Connect with us
ক্রিকেট

ক্রিকেটে ‘ট্যুর ফি’ ফিরিয়ে আনছে ইংল্যান্ড, কমাতে চায় অসমতা

ইসিবির প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গুল্ড। ছবি- সংগৃহীত

বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বে ‘ট্যুর ফি’ শব্দটার সঙ্গে খুব একটা পরিচিত নয় সকলে। তবে এক সময় ক্রিকেটে এটা ছিল বেশ প্রচলিত একটি প্রথা। যেখানে সফরকারী দেশকে একটা নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ প্রদান করত আয়োজক দেশ। তবে তা সময়ের সঙ্গে হারিয়ে গেছে। এখন আর এই ‘ট্যুর ফি’র তেমন কোন প্রচলন নেই। তবে সে বিষয়টি এখনও বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে অনেকে। এমনকি বিলুপ্ত সেই প্রথা ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়ে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।

মূলত আজকের সময় যখন একটা দেশ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে অন্য কোন দেশে সফর করে তখন বেশ কিছু খরচ বহন করতে হয় সফরকারী দেশকেই। যেমন সফরের জন্য বিমান খরচসহ আরো কিছু আনুষাঙ্গিক খরচ করতে হয় তাদেরই। যদিও খেলতে যাওয়ার পর সফরকারী দেশের আবাসন এবং অন্যান্য খরচ বহন করে আয়োজক দেশ। তবে আর্থিকভাবে দুর্বল ক্রিকেট বোর্ড গুলো এই সফরের ক্ষেত্রে বেশ বিপদেই পড়ে যায়।

কেননা দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজন করে আয়ের সবটুকু অংশ নিয়ে যায় আয়োজক দেশ। টিভি সম্প্রচার স্বত্ব, বিজ্ঞাপন, টিকিট বিক্রিসহ সকল ধরনের আয় যায় শুধু আয়োজক দেশের কোষাগারে। এতে সফরকারী দেশের জন্যে থাকে না কোন প্রকার আয়ের সুযোগ। তারা কেবল ব্যয় করে সফরের জন্যে। আর্থিকভাবে সচ্ছল ক্রিকেট বোর্ড তাদের ক্রিকেটারদের খেলানোর জন্য এই অর্থটুকু খরচ করতে দ্বিধাবোধ না করলেও, আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা বোর্ড গুলোর উপর চাপ বর্তায়।

তাই আয়ের ক্ষেত্রে এই অসমতা দূর করতে পুরনো ‘ট্যুর ফি’ এর প্রথা ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসিবি। আধুনিক যুগের প্রথম কোন দল হিসেবে ইংল্যান্ড আসন্ন ২০২৫ সালের টেস্ট সিরিজের জন্যে জিম্বাবুয়েকে ‘ট্যুর ফি’ দিতে যাচ্ছে। ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে চলমান এজবাস্টন টেস্টের প্রথম দিনে স্কাই স্পোর্টসে কথোপকথনের সময় এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসিবির প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গুল্ড।

স্কাই স্পোর্টসে আলোচনাকালে গুল্ড বলেন, ‘আগামী বছর জিম্বাবুয়ে আমাদের এখানে সফরে আসবে। সাধারণত সফরকারী দলের আবাসন ও অন্যান্য কিছুর দায়িত্ব আয়োজক বোর্ডের থাকে। তবে তাদের সফর করার জন্যে কোনো প্রকার ফি দেওয়া হয় না। আগামী বছর জিম্বাবুয়ে যখন আমাদের দেশে সফর করতে আসবে তখন আমরা তাদের ট্যুর ফি দেবো।’

রিচার্ড গুল্ড আরও উল্লেখ করেন, দ্বিপাক্ষিক সিরিজের ক্ষেত্রে আয়োজক দেশ লাভবান হলেও সফরকারী দেশ তেমন কোন আয়ের মুখ দেখে না। ক্রিকেট বোর্ডগুলোর মাঝে আয়ের সমতা ফেরাতে ট্যুর ফি চালু করার পাশাপাশি ভারত ও অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের মতো স্বচ্ছল বোর্ডদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ইসিবির এই প্রধান নির্বাহী। এমনকি বিষয়টিকে বড় দায়িত্ব বলেও মনে করেন তিনি।

আরও পড়ুন: এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিয়ে যা বললেন বাংলাদেশ অধিনায়ক

ক্রিফোস্পোর্টস/২৭জুলাই২৪/এফএএস

Click to comment

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Focus

More in ক্রিকেট