গত বছরের জুলাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডেতে বোলিং করার সময় হাটুর ইনজুরিতে পড়েন এবাদত হোসেন। এরপর হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করা হলে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় দীর্ঘদিনের জন্য মাঠের বাইরে চলে যান এই পেসার। এর ফলে এশিয়া কাপ, ওয়ানডে বিশ্বকাপ মিস করেন তিনি। তবে তার প্রত্যাশা ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন। কিন্তু পুনর্বাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়ায় এই টুর্নামেন্টেও খেলা হয়নি ‘সিলেট রকেট’ খ্যাত এই পেসারের।
গত বছর বল হাতে দারুণ সময় পার করছিলেন এবাদত। তবে ইনজুরি তার কাছ থেকে সব কেড়ে নেয়। অস্ত্রোপচারের কারণে এশিয়া কাপ এবং ওয়ানডে বিশ্বকাপে না খেলতে পারাটা নির্ধারিতই ছিল। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও মিস করায় বেশ কষ্ট পেয়েছিলেন এবাদত। পুনরায় বাইশ গজে ফিরতে নিয়মিত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন এই পেসার।
আজ (বুধবার) মিরপুরে অনুশীলন করেছেন তিনি। বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিং, ফিল্ডিং ও ফিটনেস নিয়েও কাজ করছেন এই পেসার। অনুশীলনের ফাঁকে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন এবাদত। পুনর্বাসনের সময়টা কীভাবে পার করেছেন জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, এই সময়টা অনেক কষ্টের ছিল। আমি এখন সেটা মনে করতেও চাই না। কারণ সেই সময়টায় আমার বেশ একা একাই লাগত। খেলোয়াড় হিসেবে আমি সব সময় মাঠে থাকব, খেলব। তবে সেটা করতে পারেনি, যা ছিল প্রথম কষ্ট। দ্বিতীয়ত হাঁটতে না পারায় বাইরে গিয়ে কারও সঙ্গে একটু দেখা করার সুযোগও ছিল না।’
আরও পড়ুন:
» বিসিবি সভাপতির পদ বাতিলে সামনে দুই উপায়
» বাৎসরিক আয়ে এমবাপ্পের ধারে কাছেও নেই রোহিত-কোহলিরা!
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে বর্তমানে পাকিস্তানে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। এই সিরিজ শেষে আগামী অক্টোবরেই ভারত সফর করবে টাইগাররা। সেখানে দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। আসন্ন এই সিরিজ দিয়ে পুনরায় বাইশ গজে ফিরতে চাই এই পেসার।
তিনি বলেন, ‘ভারত সিরিজে খেলতে পারাটা এখন আমার লক্ষ্য। ভারতের বিপক্ষে দুইটা টেস্ট ম্যাচ আছে। আমার কাছে মনে হয় তার আগে টেস্ট ফিটনেসটা ফিরে পেলে এখনো সুযোগ আছে। ভারত সিরিজের আগে নিজেদের মধ্যে যদি চার দিনের একটা ম্যাচ আয়োজন করা যায় এবং সেখানে যদি খেলার সুযোগ পাই তাহলে টেস্ট খেলার জন্য আমি কতটুকু ফিট সেটা বুঝতে পারবো।’
ক্রিফোস্পোর্টস/১৪আগস্ট২৪/বিটি