
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে রোববার (১৩ জুলাই) মুখোমুখি হচ্ছে ইংলিশ ক্লাব চেলসি এবং ফরাসি জায়ান্ট প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। এই ম্যাচে উভয় দলই নিজেদের সেরাটা দিতে প্রস্তুত, যদিও ইনজুরি ও নিষেধাজ্ঞা কিছু খেলোয়াড়কে নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে।
চেলসি কোচ এনজো মারেস্কা ফাইনালের আগে বেশ কিছু খেলোয়াড় নিয়ে মধুর সমস্যায় পড়েছেন। সেমিফাইনালে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে লিয়াম ডেলাপ এবং লেভি কলউইল দলে ফিরেছেন। ডেলাপ ফ্লুমিনেন্সের বিপক্ষে অনুপস্থিত থাকলেও, সেনেগালের নিকোলাস জ্যাকসনের নিষেধাজ্ঞার পর ম্যাচডে টু থেকে দলের মূল স্ট্রাইকার হিসেবে প্রতিটি ম্যাচেই শুরু করেছিলেন। সেমিফাইনালে ডেলাপের অনুপস্থিতিতে শুরু করে জোয়াও পেদ্রো দুর্দান্ত খেলেছেন এবং জোড়া গোল করে তার চেলসি অভিষেক রাঙিয়েছেন। রোববারও তিনি শুরুর একাদশে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে, কলউইল ক্লাব বিশ্বকাপের পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে চারটিতেই শুরুর একাদশে ছিলেন এবং তাই মারেস্কার রক্ষণভাগে ফিরে আসার সম্ভাবনা প্রবল। কোয়ার্টার ফাইনাল এবং চেলসির দ্বিতীয় গ্রুপ পর্বের ম্যাচে কলউইলের সাথে জুটি বাঁধা ট্রেভোহ চালোবাহ সেমিফাইনালে দারুণ পারফর্ম করায় আবারও তার সঙ্গী হতে পারেন। এছাড়া তোসিন আদারাবিওও রক্ষণে একটি বিকল্প হিসেবে আছেন।
এদিকে পিএসজি এখনো তাদের দুই ডিফেন্ডার উইলিয়ান পাচো এবং লুকাস হার্নান্দেজকে পাচ্ছে না। রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে সেমিফাইনালে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা অনুপস্থিত ছিলেন।
উসমান ডেম্বেলে ইনজুরি থেকে সেরে উঠে এই টুর্নামেন্টের বেশিরভাগ সময় বেঞ্চে কাটানোর পর ফাইনালের জন্য শুরুর একাদশে জায়গা করে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। ডেম্বেলে যদি মূল স্ট্রাইকার হিসেবে খেলেন, তাহলে ব্র্যাডলি বারকোলা বেঞ্চে যেতে পারেন। বাঁ প্রান্তে খিভিচা কভারাত্সখেলিয়া এবং ডান প্রান্তে ডিসায়ার ডুয়ে খেলার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন:
» অবশেষে পাওয়া গেল পাকিস্তান সিরিজের সম্প্রচারক চ্যানেল
» ক্লাব বিশ্বকাপ-২০২৫ : ফাইনাল কবে কখন? দেখবেন যেভাবে
অন্যথায়, পিএসজির স্বাভাবিক মাঝমাঠের ত্রয়ী – জোয়াও নেভেস, ভিতিনহা এবং ফ্যাবিয়ান রুইজ – নিজেদের জায়গা ধরে রাখবেন বলে আশা করা হচ্ছে। রক্ষণভাগে রাইট-ব্যাকে আশরাফ হাকিমি, সেন্ট্রাল ডিফেন্সে মার্কুইনহোস এবং গোলরক্ষকে বিশালদেহী জিয়ানলুইজি ডোনারুমা নিশ্চিত।
হেড টু হেড ও ফলাফল
চেলসি এবং পিএসজি শেষবার মুখোমুখি হয়েছিল ২০১৬ সালে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোতে। সেই দুটি ম্যাচেই পিএসজি ২-১ গোলে জয়লাভ করেছিল এবং তার আগের মৌসুমে একই পর্বে অ্যাওয়ে গোলের সুবাদে চেলসিকে পরাজিত করেছিল।
এ পর্যন্ত ৮ বার বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় মুখোমুখি হযেছিল দুই দল। এতে চেলসি জয় পেয়েছে দুই ম্যাচে অন্যদিকে তিন ম্যাচে জয় পেয়েছে পিএসজি আর ড্র হয়েছে তিনটি ম্যাচ।
ফাইনাল ম্যাচের পূর্বাভাস
ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে চেলসি শিবিরে কিছুটা নার্ভাসনেস দেখা যেতে পারে। পিএসজি যেকোনো সময়ই এক শক্তিশালী প্রতিপক্ষ এবং রিয়াল মাদ্রিদকে নির্মমভাবে ছিন্নভিন্ন করার সময় তাদের দুর্বলতার বিন্দুমাত্র লক্ষণ দেখা যায়নি। চেলসির জন্য এটি এক কঠিন পরীক্ষা।
ব্লুজদের জন্য ইতিবাচক দিক হলো, তারা টুর্নামেন্টের প্রতিটি ম্যাচে ধীরে ধীরে উন্নতি করেছে বলেই মনে হয়েছে। তবে, ফাইনালের পথে তাদের যাত্রা প্রতিপক্ষের মতো চ্যালেঞ্জিং ছিল না।
পিএসজির দুর্বলতা খুঁজে বের করা অত্যন্ত কঠিন। তারা রক্ষণে অটল, মাঝমাঠে সাবলীল এবং আক্রমণে নির্দয়। ডোনারুমা সম্ভবত এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা গোলরক্ষক। চেলসিকে যদি শিরোপা জিততে হয়, তবে তাদের সেরা পারফরম্যান্স দিতে হবে। এমনকি সেটাও হয়তো যথেষ্ট নাও হতে পারে।
ক্রিফোস্পোর্টস/১১জুলাই২৫/এসএইচএ
