
রাফায়েল নাদাল, নোভাক জকোভিচ, মারিয়া শারাপোভা ও সানিয়া মির্জারা যেমন কোর্টে টেনিস খেলেন। তেমন কোর্ট রয়েছে বাংলাদেশেও। টেনিস পৃথিবীর অন্যতম নান্দনিক এবং ব্যয়বহুল খেলা। বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে টেনিসের যতটা হাক-ডাক রয়েছে, সে তুলনায় বাংলাদেশের টেনিসকে নিশ্চুপই বলা চলে।
বাংলাদেশের টেনিসের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের (বিটিএফ) যাত্রা কিন্তু শুরু হয়েছিল স্বাধীনতার ঠিক পর পরই ১৯৭২ সালে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে শুধু ব্যয়ের রসিদ ছাড়া আর কিছুই দিতে পারেনি টেনিস ফেডারেশন। সাফল্যের মধ্যে শুধু রয়েছে অনূর্ধ্ব-১৪ টেনিস দলের আইটিএফ বিশ্ব জুনিয়র টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ। জাতীয় পর্যায়ে নেই কোনো তারকা, নেই ধারাবাহিক আয়োজন।
বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশন ১৯৭৭ সালে সালে রমনার জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্সে প্রতিষ্ঠা হয়। ১৯৮৫ সালে, যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশনের সদস্যপদ অর্জন করে বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশন।
আরও পড়ুন
» লখনৌকে হারিয়ে আইপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে কোহলিরা
» বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি ম্যাচসহ আজকের খেলা (২৮ মে ২৫)
এটি বাংলাদেশের ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও যুক্ত। এই ফেডারেশন বাংলাদেশের ৮টি টেনিস ক্লাবের সঙ্গে সম্পর্কিত, এগুলো হলো- বরিশাল টেনিস ক্লাব, কুমিল্লা টেনিস ক্লাব, ইঞ্জিনিয়ার্স টেনিস ক্লাব, ময়মনসিংহ টেনিস ক্লাব, নওগাঁ টেনিস ক্লাব, পটুয়াখালী টেনিস ক্লাব, রাজশাহী টেনিস কমপ্লেক্স এবং সিলেট টেনিস ক্লাব। তবে পৃষ্ঠপোষকতা আর কৌশলগত পরিকল্পনার অভাবে খেলার বিস্তার নেই বললেই চলে।
যথাযথ ব্যবস্থাপনা, প্রশিক্ষণ আর সহযোগিতা থাকলে বাংলাদেশ টেনিসেও তৈরি হতে পারে আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড়। সম্ভাবনার দরজা এখনও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। জেগে উঠলেই বদলে যেতে পারে দৃশ্যপট। টেনিসে আলো ফেরাতে দরকার শুধু আন্তরিকতা আর পরিকল্পিত উদ্যোগ।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৮মে২৫/আইএএইচআর/এসএ
