বাংলাদেশে পুরুষ ফুটবলে দৃশ্যমান তেমন অগ্রগতি পরিলক্ষিত না হলেও নারী ফুটবল ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। যদিও সে তুলনায় বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার হিসেবে নারী ফুটবলাররা এখনো পিছিয়েই আছে। ফলে ২০২২ সালে নারীদের সাফ শিরোপা ঘরে তোলার পরে তাদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির দাবি তোলা হয়।
ফলশ্রুতিতে ২০২৩ সালের আগস্টে ফুটবলারদের বেতন কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করা হলেও নিয়মিত বেতন পাওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। এবার সেই সমস্যার ই সমাধান করল বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) দেওয়া ফিফার অনুদান থেকে নারী ফুটবলারদের বেতন দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে সংস্থাটি৷
এমনটা আগে করা যেত না, কিন্তু ফিফা এখন এটির অনুমতি দিল। ফিফা জানিয়েছে, বাফুফেকে দেওয়া বার্ষিক অনুদান থেকে তারা নারী ফুটবলারদের বেতন দিতে পারবে। গত বছরের আগস্ট মাসে বেতন কাঠামোয় অন্তর্ভুক্তির পর সেপ্টেম্বর মাস থেকে অধিনায়ক সাবিনা খাতুনসহ ১৫ জন ফুটবলার মাসে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা বেতন পেতেন, ১০জন ৩০ হাজার টাকা, ৪ জন ২০ হাজার ও ২ জন ১৮ হাজার টাকা বেতন পেতেন। অর্থাৎ মাসে মোট ৩১ জন ফুটবলারের জন্য ১১ লাখ টাকার উপরে বেতন দেওয়া হতো।
বাফুফের নারী উইং কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বিষয়টি নিয়ে দেশের এক গণমাধ্যমকে জানান, ‘নারী ফুটবলারদের বেতনের টাকার জন্য আমরা ফিফার কাছে চিঠি দিয়েছিলাম। ফিফা আমাদের জানিয়েছে, তাদের থেকে বাফুফে যে অনুদান পায় সেখান থেকে মেয়েদের দেওয়া যাবে যেটা আগে আমরা দিতে পারতাম না অনুমতি না থাকার জন্য। তবে এখন বিষয়টা আমাদের জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তির হবে।’
আগামী মে মাস থেকে পারফরম্যান্সের উপর ভিত্তি করে নতুন চুক্তিতে মোট ৩৪-৩৫ জন ফুটবলারকে যুক্ত করা হবে। যদিও এই চুক্তির ফলে খেলোয়াড়দের বেতন বাড়বে না। নারী ফুটবলাররা আগেই বেতন বাড়ানোর আবেদন করেছিলেন কিন্তু বাফুফে তাতে সাড়া দেয়নি।
আরও পড়ুন: ফর্ম ফিরে পেতে লিটনকে কি পরামর্শ দিলেন সুজন?
ক্রিফোস্পোর্টস/৭এপ্রিল২৪/এমএস/এমটি