সাউদাম্পটনের কোচ টন্ডা একার্ট সাময়িকভাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দলের আবহতে পরিবর্তন এসেছে।লেস্টারের বিপক্ষে ম্যাচে সেটা আরও পরিষ্কার হল। চ্যাম্পিয়নশিপে টানা চার ম্যাচ জিতে এবার তারা ৩–০ গোলে হারিয়েছে হামজা চৌধুরির নেতৃত্বে খেলতে নামা লেস্টার সিটিকে।
ম্যাচের প্রথমার্ধেই তিন গোল হজম করে ম্যাচ থেকে বেরিয়ে যায় লেস্টার। ১৮তম মিনিটে রায়ান মানিংয়ের ফ্রি-কিক থেকে হেডে দলকে এগিয়ে নেন টেলর হারউড-বেলিস। রিপ্লেতে অফসাইডের সামান্য ইঙ্গিত থাকলেও ম্যাচ কর্মকর্তারা গোলটি স্বাভাবিকভাবেই দেন। তার কয়েক মিনিট পর লেস্টারের জর্ডান জেমস একটি ভালো হেড নিলেও গ্যাভিন বাজুনু সেটা ফিরিয়ে দেন।
তার কিছুক্ষণ পরেই পাল্টা আক্রমণ করে সাউদাম্পটনের দ্বিতীয় গোল আসে। মানিংয়ের পাস থেকে বল যায় অ্যাডাম আর্মস্ট্রং এর কাছে, এরপর লিও সিয়েঞ্জার পাস হয়ে পৌঁছায় ফিন আজাজের কাছে। আজাজ সরাসরি শট নিয়ে গোল করেন। গেল তিন ম্যাচে এটি তার তৃতীয় গোল।
এদিকে লেস্টারের তরুণ ডিফেন্ডার ওলাবাদে আলুকো শুরু থেকেই চাপে ছিলেন। ষষ্ঠ মিনিটে সিয়েঞ্জাকে ফাউল করে প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন। ৩৩তম মিনিটে টম ফেলোসকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখা মাত্রই মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। প্রথম একাদশে তার প্রথম শুরুর ম্যাচটা শেষ হয় লাল কার্ড দেখেই।
১০ জন নিয়ে খেলা লেস্টার আর ঘুরে দাড়াতে পারেনি। এরপরও সিয়েঞ্জার একটি শট দারুণভাবে রুখে দেন বেগোভিচ। পরবর্তীতে মানিংয়ের অসাধারণ ফ্রি-কিক থেকে আবারও হেডে গোল করেন হারউড–বেলিস। এটি ছিল তার দ্বিতীয় গোল।
বিরতির পরও সাউদাম্পটন খেলা তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখে। দ্বিতীয়ার্ধে আরও কয়েকটি সুযোগ তৈরি হলেও ব্যবধান আর বাড়েনি। শেষ পর্যন্ত তিন গোলেই জয় নিশ্চিত করে তারা।
সাউদাম্পটনের কোচ টন্ডা একার্ট বলেন, “আমরা জানতাম ক্লিনশিট রাখতে হলে অনেক পরিশ্রম লাগবে। সবাই মিলে দলগত প্রচেষ্টায় কাজ করার ফল পেয়েছি। দলগত প্রচেষ্টাই আমাদের শক্তি।”
অন্যদিকে লেস্টার কোচ মার্টি সিফুয়েন্তেস বলেন, “আলুকো তরুণ খেলোয়াড়। ভুল হতেই পারে তবে ভুল করলে শেখার সুযোগ থাকে। দলের সবাই তার পাশে থাকবে। ভবিষ্যতে সে দলকে ভালো কিছু দেবে বলে আমার বিশ্বাস।”
ক্রিফোস্পোর্টস/২৬নভেম্বর২৫/টিএ