
পাকিস্তানের দেওয়া ৩৩৩ রানের জবাবে খেলতে নেমে ৮ উইকেটে ২৩৫ রান তুলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তখন লিড পাওয়ার সম্ভাবনা জেগেছিল পাকিস্তানের। তবে ১১ নম্বরে নেমে কাগিসো রাবাদার ব্যাটিং তাণ্ডবে শেষ পর্যন্ত ৭১ রানের লিড নেয় প্রোটিয়ারা।
প্রথম ইনিংসে রাবাদার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংস শেষ করে ৪০৪ রানে। ১১ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন এই প্রোটিয়া পেসার—মাত্র ৩৮ বলে করেন ৫০ রান। এটি টেস্ট ইতিহাসে ১১ নম্বরে ব্যাট করতে নামা ব্যাটারদের মধ্যে দ্বিতীয় দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড।
এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেন শিলিংফোর্ড ২০১৪ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৫ বলে ফিফটি করে রেকর্ড গড়েছিলেন। সেই তালিকায় এবার দ্বিতীয় স্থানে রাবাদা। তাঁর ইনিংসে ছিল চারটি চার ও চারটি ছয়; শেষ পর্যন্ত ৬১ বলে করেন ৭১ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডার সেনুরান মুথুসামি খেলেছেন ৮৯ রানের অপরাজিত ইনিংস, আর ১০ নম্বরে নেমে কেশব মহারাজ যোগ করেন গুরুত্বপূর্ণ ৩০ রান।
অন্যদিকে পাকিস্তানের হয়ে বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন ৩৮ বছর বয়সে টেস্টে অভিষেক হওয়া বাঁহাতি স্পিনার আসিফ আফ্রিদি। দুর্দান্ত বোলিংয়ে তিনি একাই নিয়েছেন ৬ উইকেট। তবে তাঁর আগ্রাসী স্পেলও থামাতে পারেনি প্রোটিয়াদের রানের প্রবাহ। দক্ষিণ আফ্রিকার ৭১ রানের লিডের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে পাকিস্তান। স্কোরবোর্ডে মাত্র ১৬ রান যোগ হতেই পড়ে তিন উইকেট। ইমাম-উল-হক করেন ৯ রান, আব্দুল্লাহ শফিক ৬ রান, আর শূন্য রানে ফিরে যান শান মাসুদ।
ক্রিফোস্পোর্টস/২২অক্টোবর২৫/এনজি
