
নয় ম্যাচ পর টস জিতে স্বস্তির হাসি লিটন দাসের মুখে। আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্তও যেন এনে দিলো কাঙ্ক্ষিত ফল। শুরুতেই দুর্দান্ত বোলিং, সঙ্গে দুটি রান আউট-সব মিলিয়ে পাকিস্তানকে মাত্র ১১০ রানেই গুটিয়ে দেয় বাংলাদেশ। ইনিংসের তিন বল বাকি থাকতেই অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা।
বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে আলো ছড়িয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। নিজের চার ওভারে ১৮টি ডট বল, রান দেন মাত্র ৬! তুলে নেন ২টি উইকেট। তাসকিন আহমেদও কম যাননি- ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার।
ইনিংস শুরুতেই শেখ মেহেদির বলে ফখর জামানের সহজ ক্যাচ ফেলেন তাসকিন। তবে দ্বিতীয় ওভারে সেই ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করেন তিনি। সাইম আইয়ুবকে ফাইন লেগে মোস্তাফিজের হাতে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান সাজঘরে। এরপর মেহেদির ওভারে শেষ বলে ফেরেন মোহাম্মদ হারিস, ডিপ মিডউইকেটে দাঁড়িয়ে ক্যাচ নেন শামীম।
আরও পড়ুন
» সর্বকনিষ্ঠ বোলার হিসেবে ইতিহাস গড়লেন এই ‘রহস্যময়’ স্পিনার
» ৬০ রানে ৫ উইকেট নেই পাকিস্তানের
পরপর দুই ওভারে ফেরেন অধিনায়ক সালমান আলি আগা (৯ বলে ৩) ও হাসান নাওয়াজ (০)। তাসকিনের বল লিটনের গ্লাভসে লেগে সোজা উঠে যায়, রিভিউতে ধরা পড়ে গ্লাভস টাচ। আর নাওয়াজ মোস্তাফিজের স্লোয়ার কাটারে ভুল টাইমিং করে ধরা পড়েন রিশাদ হোসেনের হাতে। পাওয়ার প্লে শেষে পাকিস্তানের স্কোর ৪১/৪।
অষ্টম ওভারে রান আউট হয়ে ফেরেন মোহাম্মদ নাওয়াজ। শেখ মেহেদির বলে ফখরের ডাকে দৌড় দেন, কিন্তু ততক্ষণে বল লিটন ছুড়ে দেন বোলার প্রান্তে। মেহেদির থ্রো ভাঙেন স্টাম্প, রান আউট হন ৩ রানে।
১২তম ওভারে আরও একটি রানআউট। খুশদিল শাহের ডাকে দ্বিতীয় রানের জন্য দৌড় দেন ফখর, কিন্তু মাঝপথে ফিরে আসেন। তাসকিনের থ্রো ধরে আবারও স্টাম্প ভাঙেন লিটন। ৬ চার ও ১ ছয়ে ৩৪ বলে ৪৪ রান করা ফখর ফেরেন রানআউটে, পাকিস্তান হারায় ষষ্ঠ উইকেট ৭০ রানে।
৭ম উইকেটে ২৯ বলে ৩৩ রানের জুটি গড়লেও ১৭তম ওভারে মোস্তাফিজ ফেরান ইফতিখার আহমেদকে (২৩ বলে ১৭)। মিড অফে ধরা পড়েন রিশাদের হাতে।
শেষ ওভারে আবার জ্বলে ওঠেন তাসকিন। তৃতীয় বলে আব্বাস আফ্রিদিকে আউট করে পূর্ণ করেন নিজের তৃতীয় শিকার। এর আগে ফাহিম আশরাফকে থামান শর্ট থার্ডম্যানে শেখ মেহেদির হাতে ক্যাচে। একই ওভারে রানআউট হন অভিষিক্ত সালমান মির্জা।
শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান অলআউট ১১০ রানে।
ক্রিফোস্পোর্টস/২০জুলাই২৫/এসএ/এনজি
