বাংলাদেশের ফুটবলে নবজাগরণ ঘটিয়েছেন হামজা চৌধুরী। তার আগমনের পর থেকে ফুটবল আঙ্গনে বইছে প্রশান্তির সুবাতাস। একে একে দেশে আসতে শুরু করেছেন বিদেশি লিগে খেলা অসংখ্য তারকা ফুটবলার। অল্প সময়েই দেশের গোলদাতাদের তালিকায় নিজের নাম উপরের দিকে উঠিয়েছেন এই মিডফিল্ডার হামজা।
চলতি বছরের মার্চ মাসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের জার্সি গায়ে মাঠে নামেন হামজা চৌধুরী। এখন পর্যন্ত লাল সবুজের হয়ে খেলেছেন ৬ ম্যাচ আর এতেই তিনি করেছেন ৪ গোল। যার মধ্যে একটি করে গোল করেছেন ভুটান ও হংকংয়ের বিপক্ষে। আর গতকাল নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে তার পা থেকে এসেছে দুর্দান্ত জোড়া গোল।
এই ছয় ম্যাচ খেলে হামজা উঠে এসেছেন বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় অষ্টম স্থানে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এত কম ম্যাচ খেলে এর আগে কেউ নিজের চতুর্থ আন্তর্জাতিক গোল পূরণ করতে পারেননি। এমনকি দেশের তরুণ তুর্কি শেখ মোরসালিনেরও ৪ গোল করতে খেলতে হয়েছিল ৯টি ম্যাচ।
বাংলাদেশের জার্সিতে সর্বোচ্চ গোল করার তালিকায় শীর্ষে আছেন জাহিদ এমিলি। ৪৭ ম্যাচে এই সাবেক তারকা করেছেন সবথেকে বেশি ৯ গোল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাখাওয়াত হোসেন করেন ১৯ ম্যাচে ৮ গোল। সাবেক আরেক ফুটবলার এনামুল হকের পা থেকে আসে ১৭ ম্যাচে ৭ গোল। তার পরেই বর্তমান ফুটবলারদের মধ্যে আছেন শেখ মোরসালিন।
২১ ম্যাচে মোরসালিন করেছেন ৬ গোল। ৪৮ ম্যাচে সমান সংখ্যক গোল করে পঞ্চম স্থানে আছেন রাকিব হোসেন। ষষ্ঠ নম্বরে থাকা তপু বর্মনও ৬ গোল করতে খেলেছেন ৬৫( ম্যাচ। নাবিব নেওয়াজ জীবন করেছেন ৩০ ম্যাচে ৫ গোল। এরপরেই ৬ ম্যাচে ৪ গোল করে অষ্টম স্থানে নাম লিখিয়েছেন হামজা। যিনি ভেঙে দিতে পারেন সবার রেকর্ড।
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ গোলদাতা—
| ফুটবলার | ম্যাচ | গোল |
| জাহিদ এমিলি | ৪৭ ম্যাচ | ৯ গোল |
| সাখাওয়াত হোসেন | ১৯ ম্যাচ | ৮ গোল |
| এনামুল হক | ১৭ ম্যাচ | ৭ গোল |
| শেখ মোরসালিন | ২১ ম্যাচ | ৬ গোল |
| রাকিব হোসেন | ৪৮ ম্যাচ | ৬ গোল |
| তপু বর্মন | ৬৫ ম্যাচ | ৬ গোল |
| নাবিব নেওয়াজ জীবন | ৩০ ম্যাচে | ৫ গোল |
| হামজা চৌধুরী | ৬ ম্যাচ | ৪ গোল |
| মাহবুবুর রহমান | ২৭ ম্যাচ | ৪ গোল |
| মোহাম্মদ ইব্রাহিম | ৪১ ম্যাচ | ৪ গোল |
ক্রিফোস্পোর্টস/১৪নভেম্বর২৫/এফএএস