
টি-টোয়েন্টি সিরিজে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বেশ আধিপত্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই দাপট দেখিয়ে সিরিজ জিতে নিয়েছিল টাইগাররা। তবে ওয়ানডেতে এসেই যেন পাল্টে গেল দৃশপট। প্রথম ম্যাচেই ধরাশায়ী বাংলাদেশের ব্যাটাররা। আগে ব্যাট করতে নেমে টেনেটুনে দুইশ পেরিয়ে থেমেছে টাইগাররা।
আজ (বুধবার) আবুধাবিতে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৮.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২২১ রান তুলেছে বাংলাদেশ। ব্যাটারদের ব্যর্থতার পর বোলারদের দিকে তাকিয়ে টাইগাররা।
এদিন জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা আশানুরূপ হয়নি বাংলাদেশের। পাওয়ার প্লেতেই ফিরে যান তানজিদ হাসান তামিম ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দলীয় ১৮ রানের মাথায় ১০ রান করে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তানজিদ। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি শান্ত। তিনিও ওমরজাইয়ের বলে ক্যাচ দিয়ে ২ রান করে ফেরেন।
শুরুর বিপর্যয়ের পর ব্যাট হাতে আশা জাগান অভিষিক্ত সাইফ হাসান। তবে ভালো শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। দলীয় ৫৩ রানে নানগেইয়ালিয়া খারোতির বলে ছয় মারতে গিয়ে সীমানায় ধরা পড়েন এই ব্যাটার। সাজঘরে ফেরার আগে ৩৭ বলে ২৬ রান করেন তিনি।
টপ অর্ডারের ব্যর্থতার পর দলের হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয় ও মেহেদি হাসান মিরাজ। এই দুইয়ের ব্যাটে দেড়শ পেরোয় বাংলাদেশ। তবে দেড়শ পেরোলেই বাধে বিপত্তি। ১৫৪ রানের মাথায় রানআউটের শিকার হয়ে ফিরে যান হৃদয়। তাতে ভেঙে যায় ১০১ রানের দারুণ এক জুটি। সাজঘরে ফেরা আগে ৮৫ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৬ রান করেন এই ব্যাটার।
হৃদয় ফেরার পর ফের ধস নামে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। কিছুক্ষণ পরেই ফিরে যান আরেক সেট ব্যাটার মিরাজ। ৮৭ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ৬০ রান করে থামেন টাইগার অধিনায়ক। এরপর জাকের আলী-নুরুল সোহানরাও সুবিধা করতে পারেননি। জাকের ১০ এবং সোহান ৭ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন।
শেষদিকে তানজিম সাকিবের ১৭ এবং তানভীর ইসলামের ১১ রানের ক্যামিওতে ২২১ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের পক্ষে বল হাতে ভেলকি দেখিয়েছেন রশিদ খান। বাংলাদেশের মিডল ও লোয়ার অর্ডারে ধস নামান তিনি। ১০ ওভারে মাত্র ৩৮ রান খরচ করে ৩টি উইকেট তুলে নেন।
আজমতউল্লা ওমরজাইও ছিলেন দুর্দান্ত। ১০ ওভারে ৪০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন এই পেসার। এছাড়া এএম গজনফার ২ উইকেট এবং খারোতি একটি উইকেট নেন।
ক্রিফোস্পোর্টস/৮অক্টোবর২৫/বিটি
