
নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ ফুটবলের সব থেকে বড় তারকার নাম হামজা দেওয়ান চৌধুরী। এমনকি গোটা এশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় ফুটবলারও তিনি। বাংলাদেশের হয়ে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে আজ হংকংয়ের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন হামজা। যেখানে কাগজে কলমে শক্তিশালী দল হয়েও বাজারমূল্যের খেলায় একক হামজার কাছেই হেরে গেছে হংকং গোটা দল।
বর্তমানে ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটির হয়ে খেলছেন হামজা চৌধুরি। যেখানে তার বার্ষিক বেতন ২৬ লাখ ইউরো। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩৭ কোটি। হামজার বেতনের দ্বিগুণ তার বাজার মূল্য। ৫ মিলিয়ন ইউরো। বাংলা টাকায় যা প্রায় ৭০ কোটিরও বেশি। সেখানে হংকংয়ের পুরো স্কোয়াডের মার্কেট ভ্যালু সাড়ে চার মিলিয়ন ইউরোর কম।
এদিকে হংকং দলের সবচেয়ে দামি ফুটবলার শিনচি চান। বর্তমানে তিনি খেলছেন চাইনিজ ক্লাব সাংহাই শেনহুয়াতে। যেখানে এই লেফট ব্যাকের বাজার দর মাত্র ৭ লাখ ৫০ হাজার ইউরো অর্থাত এক মিলিয়নও হয়নি।যা হামজা চৌধুরীর চেয়ে অনেক কম। যদি হংকংয়ের গোটা দলের বাজারমূল্য বাংলাদেশী মুদ্রা হিসেবে করা হয়, তবে তা দাঁড়ায় ৬০ কোটি টাকার কাছাকাছি।
হামজার ৫ মিলিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশ স্কোয়াডের বাকি ২৭ ফুটবলারের বাজারমূল্য যোগ করলে তা গিয়ে দাড়ায় প্রায় ৯ মিলিয়ন ইউরো বা প্রায় ১২৭ কোটি টাকা। এই তালিকায় পরের নামগুলো রাকিব হোসেন ও মোহাম্মদ হৃদয়। দুজনেরই বাজারদর আড়াই লাখ ইউরো বা প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা।
বাংলাদেশের মতো হংকং দলেও রয়েছে প্রবাসী ফুটবলারদের ছড়াছড়ি। দলটিতে আছে ১৩ জন প্রবাসী। এরমধ্যে ৫ ফুটবলারের বেড়ে উঠা ব্রাজিলে। স্পেন, ফ্রান্স, ইউক্রেন, স্কটল্যান্ড, জাপানের ফুটবলারও আছেন দলটিতে। তবে জন্ম ও বেড়ে ওঠা বিদেশে হলেও বেশিরভাগ ফুটবলার খেলছেন নিজ দেশের লিগে। হাতে গোনা কয়েকজন খেলেন চাইনিজ লিগে।
এদিকে বাংলাদেশ দলে আছেন প্রবাসী বা বংশোদ্ভূত ৭ জন ফুটবলার। যার মধ্যে বর্তমানে বিদেশি লিগে খেলেন তিনজন। লেস্টার সিটিতে আছেন হামজা চৌধুরী, ইতালির চতুর্থ সারির লিগে খেলেন ফাহমিদুল ইসলাম আর কানাডিয়ান লিগে খেলছেন সামিত সোম। তিনজনই দেশে এসেছেন এশিয়া কাপের বাছাইপর্বে হংকংয়ের বিপক্ষে খেলতে।
ক্রিফোস্পোর্টস/৯অক্টোবর২৫/এফএএস
