
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনসিসি) কোটায় মনোনীত হয়েও বেশিক্ষণ বিসিবি পরিচালক পদে টিকে থাকতে পারেননি ব্যবসায়ী ইশফাক আহসান। আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকার কারণে তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয় এনসিসি। আর এতেই তার জায়গায় বিসিবি পরিচালক হিসেবে ক্রীড়া পরিষদের মনোনয়ন পাচ্ছেন কর্পোরেট ব্যক্তিত রুবাবা দৌলা।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয় নারী হিসেবে বোর্ড পরিচালকের দায়িত্ব পেয়েছেন রুবাবা দৌলা। এর আগে মনোয়ারা আনিস মিনু ছিলেন বিসিবির প্রথম নারী পরিচালক। ২০০৭-০৮ মৌসুমে প্রায় দেড় বছর বিসিবির নারী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এবার মিনুর পর দ্বিতীয় নারী হিসেবে বিসিবি পরিচালকের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন রুবাবা।
জানা গেছে রুবাবা দৌলা বর্তমানে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ওরাকলের বাংলাদেশ ,নেপাল ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টরের পদে কর্মরত আছেন। এর আগে টেলিকম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন ও এয়ারটেলের শীর্ষ কর্তা হিসেবেও কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তার। এমনকি সেই দায়িত্ব থেকেই ক্রিকেটের আরও কাছে আসার সুযোগ পেয়েছিলেন রুবাবা।
গ্রামীণফোন যখন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের স্পন্সর ছিল, তখন রুবাবা দৌলা ছিলেন সেই প্রতিষ্ঠানের হেড অব কর্পোরেট। আর তাই সেই সময় ক্রিকেটীয় নানা কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ আসে তার কাছে। এছাড়া ২০০৭ সালে গ্রামীণফোন ও বিসিবির যৌথ উদ্যোগে মিরপুরে জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন রুবাবা।
গ্রামীণফোন ছাড়াও খেলাধুলার সঙ্গে রুবাবার সম্পৃক্ততা দীর্ঘদিনের। ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ ব্যাডমিনটন ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া বাংলাদেশ স্পেশাল অলিম্পিকসের বোর্ড সদস্য হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। এবার সরাসরি ক্রিকেট বোর্ডে পরিচালক হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন রুবাবা।
উল্লেখ্য, ইশফাক আহসান আওয়ামী লীগের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। ২০২৪ সালের নির্বাচনে চাঁদপুর-২ আসন থেকে আওয়ামী লিগের মনোনয়নও চেয়েছিলেন। এই নেতাকে পরিচালক মনোনয়ন দিয়ে বিসিবিকে পাঠানো চিঠি উইথড্র করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। আজ মঙ্গলবার বোর্ড সভা শেষে এ কথা জানান বিসিবির পরিচালক এবং আম্পায়ার্স কমিটির নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু।
ক্রিফোস্পোর্টস/৭অক্টোবর২৫/এফএএস
