
এশিয়া কাপের পর দ্বিপক্ষীয় সিরিজেও বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পেল না আফগানিস্তান। শারজায় সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৪ উইকেটে হারের পর ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগকেই দায়ী করেছেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান।
১৫১ রানের স্বল্প লক্ষ্য দিয়েও আফগানরা লড়াইয়ে ছিল শেষ পর্যন্ত। বাংলাদেশের ওপেনিং জুটিতে আসে ১০৯ রান, যা ম্যাচের গতিপথ স্পষ্ট করে দেয়। তবে আচমকা ধস নামে টাইগারদের ব্যাটিংয়ে—২৪ বলে ৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। তখন ম্যাচে ফেরার আশা জাগে আফগান শিবিরে।
সেই প্রত্যাবর্তনের মূল কারিগর ছিলেন রশিদ খান। দুর্দান্ত লেগ স্পিনে মাত্র ১৮ রানে নিলেন ৪ উইকেট। অধিনায়ক হিসেবে এটিই তাঁর পঞ্চমবার ইনিংসে চার বা তার বেশি উইকেট শিকার, যা টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর কোনো অধিনায়কের সর্বোচ্চ কীর্তি। এতদিনে বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান ও শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গা এই কীর্তি ছুঁয়েছিলেন দুবার করে। সহযোগী দেশগুলোর মধ্যে জার্সির চার্লস পেরচার্দকেও ছাড়িয়ে গেছেন রশিদ।
তবুও ব্যাটিং ব্যর্থতায় ভেস্তে যায় আফগানিস্তানের লড়াই। ২৫ রানে উদ্বোধনী জুটি গড়লেও পরের ১৫ রানের মধ্যেই চার ব্যাটার ফেরেন সাজঘরে। কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৩৩ রানের জুটি এসেছে আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও রহমানউল্লাহ গুরবাজের ব্যাটে।
হারের পর হতাশ রশিদ খান বলেন, “আমরা ম্যাচটা আরও ভালোভাবে শেষ করতে পারতাম। টি-টোয়েন্টিতে একবার ছন্দ হারালে ফিরিয়ে আনা কঠিন। প্রথম ১০ ওভারে আমরা ঠিকঠাক বোলিং করতে পারিনি। স্টাম্পে বল না করে বাইরে বল করেছি, আর তাতেই রান নেওয়া সহজ হয়েছে। যখন স্টাম্পে বল করতে শুরু করেছি, তখনই আমরা ম্যাচে ফিরেছিলাম।”
ব্যাটিং নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। “আমরা খুব সহজে উইকেট বিলিয়ে দিয়েছি। চাপের সময়ে ভুল শট খেলার প্রবণতা ছিল। ব্যাটসম্যানদের স্বাভাবিক খেলার দিকে মনোযোগী হতে হবে। সময় নেওয়া যেতে পারে, কিন্তু অযথা ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। আশা করি, এই ভুলগুলো থেকে শিখে বিশ্বকাপের আগে উন্নতি করব।”
ম্যাচ শেষে রশিদের কণ্ঠে হতাশার পাশাপাশি ছিল প্রত্যাশাও। তিনি মনে করেন, এই ভুলগুলো শুধরে নিতে পারলেই দলটি শক্ত অবস্থানে ফিরবে। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ আজই শারজায় অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে হারের দায় ঘুচিয়ে সমতায় ফেরার লড়াইয়ে নামবে আফগানিস্তান।
ক্রিফোস্পোর্টস/৩অক্টোবর২৫/টিএ
