
গোলে লিড নিয়েও দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ৬-১ গোলের বড় ব্যবধানে হেরে প্রায় স্বপ্ন ভঙ্গ হচ্ছিলো বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব নারী ফুটবল দলের। কিন্তু লেবাননের জালে চীনের ৮ গোল দেওয়ায় কপাল খুলেছে পিটার বাটলারের শিষ্যদের। অনেক সমীকরণ শেষে অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের মূলপর্বে জায়গা করে নিয়েছে আফিদা খন্দকারররা।
এর আগে গত মাসে বাংলাদেশ নারী জাতীয় ফুটবল দল প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল। সেই পথ ধরে ছোটরাও গড়লো ইতিহাস। আগামী বছরের এপ্রিলে থাইল্যান্ডে অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলবেন সাগরিকা-তৃষ্ণারা।
নারী অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপের ‘এইচ’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে হেরে (১-৬) যাওয়ায় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে খেলার সুযোগ হারায় বাংলাদেশ। তবে ‘ই’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে চীনের কাছে ৮-০ গোলে লেবানন হেরে যাওয়ায় সেরা তিন রানার্স আপ দলের একটি হয়ে মূলপর্বে খেলা নিশ্চিত হয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।
সমীকরণ মেলাতে গিয়ে বেশ হিমশিম খেতে হয়েছে। বাংলাদেশসহ ছয়টি রানার্সআপ দলের পয়েন্ট ছিল ৬। এর মধ্যে হংকং আর ইরানের সুযোগ শেষ হয়ে যায় গোলগড়ের জন্য। সম্ভাবনা ছিল লেবাননেরও। যদি তারা চীনের সঙ্গে ড্র করতো তবে কপাল খুলতো। কিন্তু চীনের কাছে ৮ গোল খাওয়ায় সুযোগ মাটিতে মিশে গেছে।
তবে লেবাননের দুঃখের দিনেই সুসংবাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। ১২ দেশের এই বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতায় স্বাগতিক থাইল্যান্ড ছাড়াও খেলা নিশ্চিত হয়েছে উত্তর কোরিয়া, ভারত, চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া।
বাংলাদেশ প্রথমবার খেললেও ভারত সুযোগ পেয়েছে ২০ বছর পর। এর আগে ২০০৬ সালের আসরে ভারত বয়সভিত্তিক এই টুর্নামেন্টে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল।
ক্রিফোস্পোর্টস/১১আগস্ট২৫/এনজি
