
এক মহা ইতিহাসের সামনে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। এই মহাইতিহাসের সামনে দাঁড়ানোর আগে তারাই গড়েছেন একটি ইতিহাস। প্রথমবারের মতো নারীদের এশিয়ান কাপের চূড়ান্তপর্বে জায়গা করে নিয়েছে ঋতুপর্ণা-শামসুন্নাহাররা। আর করে সুযোগ তৈরি হয়েছে বিশ্বকাপে খেলারও।
গতকাল র্যাঙ্কিংয়ে ৭৩ ধাপ এগিয়ে থাকা মিয়ানমারকে হারিয়ে বাছাইপর্বের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এক ম্যাচ বাকি থাকতেই নিশ্চিত হয়েছে মূলপর্বের টিকিট। আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এশিয়া কাপ খেলবে বাঘিনীরা। এই সাফল্যের সঙ্গে উঁকি দিচ্ছে ২০২৭ সালে ব্রাজিলে অনুষ্ঠেয় নারী বিশ্বকাপেরও।
২৩তম দল হিসেবে এশিয়ান কাপে খেলার ইতিহাস গড়েছে ঋতুরা। আগামী বছরের টুর্নামেন্টের জন্য এখন পর্যন্ত স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও বাংলাদেশ—এই পাঁচটি দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে। বাকি সাতটি দল আসবে বাছাইপর্ব থেকে।
আরও পড়ুন
» মাত্র ২৮ বছর বয়সেই না ফেরার দেশে লিভারপুলের ট্রফিজয়ী তারকা
» ৪৪ বছরেও গোল পোস্টের অতন্দ্র প্রহরী, কে এই ব্রাজিলিয়ান?
তিনটি গ্রুপে ভাগ হয়ে মূলপর্বে খেলবে ১২টি দল। গ্রুপপর্বের পর কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবে তিন গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ, সঙ্গে সেরা দুটি তৃতীয় স্থানের দল। সেখান থেকে সেমিফাইনালে ওঠা চার দল সরাসরি পাবে ২০২৭ বিশ্বকাপের টিকিট। কোয়ার্টারে হেরে যাওয়া দলগুলোর মধ্যে দুটি দল আরও একটি সুযোগ পাবে প্লে-ইন খেলে।
এখান শুধু বিশ্বকাপই নয়, ২০২৬ এশিয়ান কাপের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে ঠিক হবে ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকের বাছাইপর্বের দলও চূড়ান্ত হবে। কারা খেলবে। এশিয়ান কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা আটটি দল সেই বাছাইপর্বে অংশ নেবে।
আগামী ২৯ জুলাই সিডনিতে এশিয়ান কাপের ড্র অনুষ্ঠিত হবে। আর ওইদিনই জানা যাবে বাংলাদেশের গ্রুপসঙ্গীদের নাম। তখন ঋতুপর্ণা ও তার দল সেদিন দাঁড়াবে আরও বড় চ্যালেঞ্জের সামনে।
এশিয়ান কাপের মঞ্চে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলে বিশ্বকাপের মঞ্চে ছুঁতে পারবে লাল-সবুজের মেয়েরা। আর যদি সেটা বাস্তব হয়, তবে বাংলাদেশের নারী ফুটবল ইতিহাসে এই অর্জন সোনার হরফে লেখা থাকবে।
ক্রিফোস্পোর্টস/৩জুলাই২৫/এজে
