
তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করেছে জাকের আলী অনিকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে আফগানিস্তানের মত দলকে হারানো নিঃসন্দেহে জাকেরের জন্য অনেক বড় অর্জন। কিন্তু কথায় আছে ‘ক্যাপ্টেন লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট’ যা আমরা অতীতে সাকিব-তামিম-লিটনদের করতে দেখেছি-সেটা কি তিনি হতে পেরেছেন? নি:সন্দেহে এটার উত্তর হবে ‘না’।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে শ্বাসরুদ্ধকর জয় এলেও গতকাল তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে সাইফের ব্যাটে বাংলাদেশ জিতেছে হেসেখেলে। দুই ওভার হাতে রেখে ৬ উইকেটের ব্যবধানে জিতে আফগানদের ৩-০ ব্যবধানে বাংলাওয়াশ করেছে বাংলাদেশ।
কিন্তু সিরিজের তিন ম্যাচ মিলিয়ে জাকের আলী ৫০ রানও পার করতে পারেননি। গতকাল যেখানে তাঁর সুযোগ ছিল ম্যাচ হিরো হওয়ার সেখানেও ব্যর্থ হয়েছেন। মুজিব-উর-রহমানের বল লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েছেন। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি তিনি। আম্পায়ার্স কলেই সাজঘরে ফিরেন। দলীয়ভাবে ফলাফল আসলেও বাজে ব্যাটিংয়ের কারণে অনেক সমালোচনার শিকার হচ্ছেন জাকের আলী।
গত রাতে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এলে জাকের আলীকে জিজ্ঞেস করা হয়, সমালোচনা কীভাবে সামলাচ্ছেন? উত্তরে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টির ভারপ্রাপ্ত এই অধিনায়ক বলেন, সমালোচনা নিয়ে কিছু বলার নেই আমার। সিরিজ জিতে ভালো লাগছে।’
যদিও লিটনের ইনজুরিতে আক্রান্ত হওয়ার কারণে এশিয়া কাপের সুপার ফোর থেকে অধিনায়কত্ব করছেন জাকের। এশিয়া কাপে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে প্রথম মিশনেই ব্যর্থ হলেও এবার তাঁর নেতৃত্বেই আফগানদের হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। এমন অর্জনে সতীর্থদের বেশি কৃতিত্ব দিচ্ছেন জাকের।
আফগানদের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৬ উইকেটে জয়ের পর জাকের বলেন,‘আমি অধিনায়কত্ব করে ম্যাচ জেতাইনি। সবার প্রচেষ্টায় ম্যাচ জিতেছি। আমাকে কৃতিত্ব দেওয়ার কিছু নেই। লিটনদা ইনজুরির জন্য ছিলেন না। তাঁর অনুপস্থিতিতে আমি সেই দায়িত্ব ঠিকঠাক পালনের চেষ্টা করেছি। ছেলেরা ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিংয়ে তিন বিভাগেই অনেক ভালো করেছে।’
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে বাংলাদেশকে ৩–০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছিল আফগানরা। তারই প্রতিশোধ ছিল এটা। এ নিয়ে দুইবার আফগানিস্তানকে টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। সবশেষে ২০২৩ সালে আফগানদের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে টি-২০ সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ।
ক্রিফোস্পোর্টস/৬অক্টোবর২৫/টিএ
