Connect with us
ক্রিকেট

যে কারণে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ১৬০০ মিটার দৌড়ালো শান্ত-লিটনরা

cricketer ran at Bangabandhu stadium
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে দৌড়াচ্ছেন ক্রিকেটাররা। সবকিছু নজর রাখছেন বিসিবির ট্রেনার ন্যাথান কিলি। ছবি- সংগৃহীত

মিরপুরের মাঠ ছেড়ে হঠাৎ গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে দেখা মিললো জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। সেখানে টাইগার ক্রিকেটাররা ১ হাজার ৬০০ মিটার করে দৌড়ালেন। মূলত চলতি মাসের শেষে ঘরের মাঠে সিরিজ সামনে রেখে ক্রিকেটারদের ফিটনেস চেক করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের টিম ম্যানেজমেন্ট। সেই লক্ষ্যে ক্রিকেটারদের প্রস্তুতির প্রথম পর্ব হিসেবে দৌড়াতে হলো ৩৫ ক্রিকেটারকে।

আগামী ২৮ এপ্রিল বাংলাদেশ সফরে আসবে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে এটাই টাইগারদের শেষ সিরিজ। এই সিরিজের জন্য এখনও দল ঘোষণা করেনি বিসিবি। দল ঘোষণার আগে ক্রিকেটারদের ফিজিক্যাল পারফরম্যান্স অ্যাসেসমেন্টে ও ফিটনেস টেস্ট করছে টিম ম্যানেজমেন্ট। এই সফরে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে।

এক সময় দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় মাঠ ছিল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম। ২০০৬ সাল এই মাঠ ফুটবলের জন্য বরাদ্দ পায় এবং মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম হয়ে যায় ক্রিকেটের নতুন ঠিকানা। নতুন ক্রিকেটাররা বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মর্ম না বুঝলেও বাংলাদেশ ক্রিকেটের একটা প্রজন্মের ক্রিকেটারদের কাছে এই মাঠ স্মৃতিময় অতীত।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে টাইগার ক্রিকেটাররা হাজির হন, যারা জাতীয় দলের বিবেচনায় ছিলেন। সেখানে এবার পরীক্ষাটা হলো অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে। টাইগারদের নতুন ট্রেইনার ন্যাথান কিলি চেয়েছেন এ রকম একটা জায়গায় ক্রিকেটারদের স্প্রিন্ট দেখে কার ফিটনেসের কী অবস্থা বুঝতে।

তবে সেখানে ছিলেন না তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, তাসকিন আহমেদ ও সৌম্য সরকার। সাকিব রয়েছেন দেশের বাইরে, তাসকিন ডিপিএলে টানা ম্যাচ খেলায় বাড়তি ঝুঁকি নেননি, মুস্তাফিজ রয়েছেন আইপিএলে। চোটের কারণে ছিলেন না সৌম্য সরকার ও তাইজুল ইসলাম।

জাতীয় দলের ম্যানেজার ও সাবেক ওপেনার শাহরিয়ার নাফীস অনেক ম্যাচের সাক্ষী এই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম। দীর্ঘদিন পর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে গিয়ে এদিক-ওদিক তাকিয়ে দেখেন সবকিছুই যেন বদলে গেছে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে নিজের স্মৃতি ভাগাভাগি করতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে উঠলেন, ‘কী স্টেডিয়াম রে ভাই! এই গেটটা তো বন্ধ করে রাখতে হতো খেলার সময়।

নাফীস বলেন, যারা একদম নতুন, তারা হয়তো এখানে খেলেনি। কিন্তু এই স্টেডিয়ামের কথা নিশ্চয়ই শুনেছে। অনেকের জন্ম ২০০০ সালের আশপাশে। তাদের খেলার কথাও নয়। তবে আইকনিক স্টেডিয়াম যেহেতু, এটার গল্প নিশ্চয়ই শুনেছে।

দুই দলে ভাগ হয়ে ১৬০০ মিটার দৌড়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন তানজিম হাসান ও নাহিদ রানা। খেলোয়াড়দের ফিটনেস টেস্ট এখানেই শেষ হচ্ছে না। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে প্রস্তুতির প্রথম পর্ব সেরে আবারও মিরপুর শের-ই-বাংলায় ফিরে যাবেন ক্রিকেটাররা। সেখানে হবে প্রস্তুতির বাকি অংশ। বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখেই খেলোয়াড়দের নিয়ে কেলির এই কর্মযজ্ঞ।

আরও পড়ুন: চিপকের বাইরে অকার্যকর মুস্তাফিজ!

ক্রিফোস্পোর্টস/২০এপ্রিল২৪/এজে

Click to comment

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Focus

More in ক্রিকেট