Connect with us
ক্রিকেট

আফগানিস্তানে ক্রিকেট কেন এতো জনপ্রিয়?

afganistan cricket
আফগানিস্তানে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তার আমলনামা। ছবি- সংগৃহীত

রাস্তায় হাজারো মানুষের ঢল৷ কারো হাতে আফগান পতাকা, কারো হাতে প্ল্যাকার্ড৷ একটা জয় সেদিন বদলে দিয়েছিল গোটা আফগানিস্তান। দীর্ঘ সময় ধরে বারুদের গন্ধ আর নানান সংকটের মধ্যে দিনাতিপাত করা আফগানদের জন্য এটি ঈদের আনন্দের চেয়ে কম ছিল না৷

২০২৪ বিশ্বকাপের সুপার এইটে বাংলাদেশকে হারানোর পর এমন দৃশ্যই দেখা গেছে কাবুল থেকে কান্দাহারে। এটি কেবল একটা জয় নয়, রীতিমতো ইতিহাস৷ বাংলাদেশকে হারিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে আফগানরা। অথচ বিশ্বকাপে দলটির অভিষেক হয় ২০১০ সালে৷

এমন অভাবনীয় জয়ের দিনে রাস্তায় মানুষের ঢল নামারই কথা৷ হয়েছেও তাই৷ ক্রিকেটার ও সাধারণ মানুষের আবেগ আর আনন্দে উন্মাতাল হয়ে উঠে সেন্ট ভিনসেন্ট থেকে কাবুল। সেন্ট ভিনসেন্টে সাগর পাড়ে আফগান গর্জনে মুখরিত হয়ে উঠে চারপাশ৷ ক্রিকেট বিশ্বের সাবেক থেকে বর্তমান তারকারাও মজে যান আফগান রূপকথায়৷

বিশ্ব আসরের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করলেও নিজ দেশে নেই কোনো আর্ন্তজাতিক মানের স্টেডিয়াম, নেই ক্রিকেটীয় অবকাঠামো, তাই বছরের পুরোটা সময় খেলে বেড়াতে হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে৷ নিজেদের হোম ভেন্যু হিসেবে চালিয়ে দেওয়া হয় শারজাহ, আবুধাবি কিংবা ভারতের দেরাদুন। এভাবেই বছরের পর বছর চলছে আফগান ক্রিকেট৷

আরও পড়ুন : 

» পিসিবিতে ‘সার্কাস করেন জোকাররা’, বললেন সাবেক পাক ক্রিকেটার

» হাসিনার পতনের আগের দিন যেভাবে বড় দান বাগিয়েছেন সাকিব!

উনিশ শতকের শুরুর দিকে আফগানিস্তানে ক্রিকেটের আবির্ভাব হলেও জনপ্রিয়তা পেতে অপেক্ষা করতে হয় রুশ-আফগান যুদ্ধ পর্যন্ত৷ সেসময় শত্রুর হাত থেকে অকালে প্রাণ হারানোর ভয়ে অধিকাংশরা শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেয় পাকিস্তানে৷ যেখানে ক্রিকেট ততদিনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। এখান থেকেই মূলত ক্রিকেটের সঙ্গে আফগানদের সম্পর্ক গড়া শুরু হয়৷

afganistan win

বিশ্বকাপের মঞ্চে টিম আফগানিস্তান (afganistan)। ছবি- সংগৃহীত

১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড৷ ৫ বছর পর ২০০১ সালে মিলে যায় আইসিসির সহযোগী সদস্যপদ৷ শুরু হয় এক নতুন যুগের পথচলা৷ এক পা, এক পা করে আগাতে শুরু করে আফগান ক্রিকেট। সাধারণ মানুষেরও আগ্রহের কেন্দ্রে পৌঁছে যায় ক্রিকেট।

২০১০ সালে প্রথম বারের মতো আফগানিস্তানের অভিষেক হয় আইসিসির বৈশ্বিক কোনো আসরে৷ সেবার অবশ্য খুব একটা চমক দেখাতে পারেনি আফগানরা৷ ২০১৫ সালে আফগান কিংবদন্তি মোহাম্মদ নবীর নেতৃত্বে ওয়ানডে বিশ্বকাপে অভিষেক হয় আফগানদের৷ বিশ্বকাপে আহামরি সাফল্য ধরা না দিলেও ক্রিকেট বিশ্বকে নিজেদের শক্তি-সামর্থ্যের জানান দেয় আফগানিস্তান।

যুদ্ধের করালঘাত ও বহু প্রতিকূলতা পার করা আফগানরা এখন সীমিত ওভরের ক্রিকেটের ডার্ক-হর্স৷ নিজেদের দিনে যে কোনো দলকে ব্যাটে-বলে হারানোর সামর্থ্য রাখে আফগানিস্তানরা। দেশটির ৩৪টি প্রদেশের ৩২টিতে নিয়মিত প্রাদেশিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজিত হয়ে থাকে।

এছাড়া, প্রতি বছর দুটি লিস্ট এ টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়, যার একটিতে ২০টি এবং অন্যটিতে ১২টি প্রাদেশিক দল অংশ নেয়। এ থেকেই আঁচ করা আফগানিস্তানে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তার আমলনামা৷

ক্রিফোস্পোর্টস/৮সেপ্টেম্বর২৪/টিএইচ/এসএ

Click to comment

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Focus

More in ক্রিকেট