
পেসার নাহিদ রানার বোলিংয়ের গতি সবাই দেখেছে আগেই। কিন্তু আজ তার দৌড়ের গতি দেখলেন দলের অন্যান্য ক্রিকেটাররা। রবিবার সাতসকালে গুলিস্তানের জাতীয় স্টেডিয়ামে ছিল জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ফিটনেস টেস্ট। সেখানেই সবাইকে চমকে দিয়েছেন নাহিদ।
এমনকি ওই টেস্টে সবার মধ্যে এতো গতিতে তিনি দৌড়েছেন, যে তা দেখে সাবেক অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত রসিকতা বললেন, ‘তোকে তো অলিম্পিকে পাঠাব’।
সকাল ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত হয়েছে ক্রিকেটারদের এই টেস্ট।এশিয়া কাপের স্কোয়াডে থাকা প্রায় সব ক্রিকেটার তো ছিলেন। এছাড়া মুশফিক, সাদমান, মাহমুদুল হাসান, হাসান মুরাদ, তাইজুল ইসলাম, ইবাদত হোসেন, অমিত হাসান ও পেসার এনামুল হকও ছিলেন।
কিন্তু লিটন দাস ও তাওহীদ হৃদয়কে দেখা যায়নি। এছাড়া টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া এশিয়া কাপের স্কোয়াডে থাকা আরও ৪ ক্রিকেটার ছিলেন না।
দুই ধাপে ফিটনেস ক্যাম্প হয়েছে ক্রিকেটারদের। সেখানে ট্রেনার নাথান কেলির অধীনে নানা স্কিল উন্নয়ন ড্রিলে নিজেদের ফিটনেসটাকে ঝালিয়ে নিয়েছেন তারা।সবাইকে ১৬০০ মিটার দৌঁড়াতে হয় কোনোপ্রকার বিরতি না দিয়ে। ২৬ জনকে নিয়ে অনুষ্ঠিত এই টেস্টের প্রথম পর্বে ছিলেন ১১ জন, দ্বিতীয় পর্বে ১৫জন।
প্রথম ধাপে নাহিদ রানার সবার আগে টার্গেট পেরিয়ে যান। পরের পর্বে প্রথম হন তানজিম হাসান সাকিব। তবে সব মিলিয়ে হিসেবটা করলে নাহিদই এগিয়ে থাকবেন। নাহিদ দৌড় শেষ করেছেন ৫ মিনিট ৩১ সেকেন্ডে, তানজিম সাকিব তার দৌড় শেষ করতে নিয়েছেন ৫ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
জাতীয় দলের জন্য বেঞ্চমার্ক ঠিক করা আছে তিনটি। কেউ যদি ৫ মিনিট ৪০ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করতে পারেন, তাহলে তাঁকে ধরা হয় ‘এলিট’ হিসেবে।
ক্রিফোস্পোর্টস/১০আগস্ট২৫/এনজি
