
এর আগেও টেস্ট খেলুড়ে দলকে টি-টোয়েন্টিতে হারানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের। তবে গতকাল রাতে তারা যা করল, তা রীতিমত চমক জাগানো। কেননা এত বড় রান তাড়া টেস্ট খেলুড়ে দলের বিপক্ষে জয়ের ইতিহাস নেই আইসিসির কোন সহযোগী দেশের।
অবশ্যই এমন পরাজয় যেকোনো দলের অধিনায়কের জন্য লজ্জাজনক। যেখানে আগে ব্যাট করে ২০৫ রান সংগ্রহ করার পরেও সহযোগী কোন দেশের কাছে হারতে হয় সেই ম্যাচ। গতকাল খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে নিজের হতাশার কথা জানিয়ে ম্যাচ হারের কারণ জানিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক লিটন দাস।
মূলত কন্ডিশনের কাছে নিজেদের ধরাশায়ী হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন লিটন। এই হারের জন্য শেষ দিকে শিশির থাকাকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি, ‘আমরা ভালো ব্যাট করেছি, উইকেট ভালো ছিল। কিন্তু আমার মনে হয়েছে পরে যখন তারা ব্যাট করেছে, শিশিরের সুবিধা পেয়েছে। তবুও আমরা চেষ্টা করেছি।’
আরও পড়ুন:
» নাটকীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল আমিরাত
» এক ফিফটি ও দুই চল্লিশোর্ধ্ব ইনিংসে বড় সংগ্রহ বাংলাদেশের
এমন কন্ডিশনে খেলার জন্য বিভিন্ন কৌশলে হিসেব কষতে হয় বলে মনে করেন লিটন। এই টাইগার অধিনায়ক বলেন, ‘আপনাকে বুঝতে হবে যখন এই ধরনের ছোট মাঠে খেলবেন, শিশির একটা বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে। আপনি যখন বল করবেন, তখন হিসাব কষতে হবে।’
এদিন ব্যাটাররা ভালো করলেও বোলাররা ছিলেন খরুচে। বিশেষ করে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি খেলা নাহিদ রানা। ৪ ওভারে ২ উইকেট নিলেও দিয়ে ফেলেছেন ৫০ রান। ম্যাচশেষে তাঁকে নিয়ে লিটন বলেছেন, ‘আমরা তার কাছে আরও বেশি কিছু প্রত্যাশা করেছি। তবে ক্রিকেটারের ভালো ও খারাপ দিন যেতেই পারে।’
উল্লেখ্য, ম্যাচে রান তাড়া করতে নেমে মুহাম্মদ জুহাইবকে নিয়ে ১০৭ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন আমিরাত অধিনায়ক মুহাম্মদ ওয়াসিম। শেষ দিকে টাইগার বোলারদের ছন্নছাড়া বোলিং আরও বেশি সুযোগ করে দেয় প্রতিপক্ষকে। এতে এক বল বাকি থাকতেই দুই উইকেটের জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা।
ক্রিফোস্পোর্টস/২০মে২৫/এফএএস
