
ক্লাব বিশ্বকাপ জয়ের পর ফাইনালের পুরস্কার বিতরণী মঞ্চেও দেখা গেল ব্লুজদের দাপট। দলগত সাফল্যের পাশাপাশি ব্যক্তিগত নৈপুণ্যেও একাধিক চেলসি তারকা পুরস্কার জিতে নিয়েছেন। টুর্নামেন্টের গোল্ডেন বল, গোল্ডেন গ্লাভস জিতেছে চেলসি।
টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার, অর্থাৎ গোল্ডেন বল জিতেছেন চেলসির ২৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড কোল পালমার। ফাইনালে পিএসজির বিপক্ষে চেলসির ৩টি গোলের সঙ্গেই সরাসরি জড়িত ছিলেন তিনি। নিজে করেছেন ২টি গোল এবং ১টি গোলে সহায়তা করেছেন। এর আগে সেমিফাইনালে পালমেইরাসের বিপক্ষেও তার একটি গোল ছিল। টুর্নামেন্টে গোলের দিক থেকে পালমার সেরা না হলেও (৩ গোল ও ২ অ্যাসিস্ট), গোল প্রচেষ্টার দিক থেকে তিনিই ছিলেন সবচেয়ে এগিয়ে, তার ২১টি গোল প্রচেষ্টা ছিল।
আরও পড়ুন:
» ওয়ানডেতে হয়নি, টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিততে চায় বাংলাদেশ
» মাদ্রিদ অধ্যায়ের সমাপ্তি, লুকা মদ্রিচ এবার এসি মিলানে
এদিকে, টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে গোল্ডেন বুট পুরস্কার জিতেছেন রিয়াল মাদ্রিদের ২১ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড গনসালো গার্সিয়া। তিনি মোট ৪টি গোল করেছেন। বেনফিকার আনহেল দি মারিয়া, ডর্টমুন্ডের সেরহু গিরাসি এবং আল হিলালের মার্কোস লিওনার্দোও ৪টি করে গোল করলেও, গার্সিয়া একটি অ্যাসিস্ট করার কারণে গোল্ডেন বুট জিতে নিয়েছেন। বাকি তিনজন শুধু গোলই করেছেন, কোনো অ্যাসিস্ট নেই।
ব্যক্তিগত পর্যায়ে আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। সেরা গোলকিপারের গোল্ডেন গ্লাভস জিতেছেন চেলসির রবার্ট সানচেজ, যিনি পুরো টুর্নামেন্টে নিজের গোলপোস্ট আগলে রেখেছিলেন। আর সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন পিএসজির দেজিরে দুয়ে, যিনি টুর্নামেন্টে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন।
এই সকল পুরস্কার বিজয়ী খেলোয়াড়দের নির্বাচন করেছে ফিফা টেকনিক্যাল স্টাডি গ্রুপ, যার প্রধান হলেন ফিফা চিফ অব গ্লোবাল ফুটবল ডেভেলপমেন্ট আর্সেন ওয়েঙ্গার। তাদের ভোটে সেরা পারফর্মারদের হাতে উঠেছে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৪জুলাই২৫/এসএইচএ
