
যার পোস্টার ছিল দেয়ালে, আজ তিনি নিজেই সেই ক্লাবের পোস্টার বয়। ছোটবেলার যাকে আইডল ভেবেছিলেন, সেই রোনালদোকে রিয়াল মাদ্রিদে প্রথম মৌসুমেই ছাড়িয়ে গেলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।
২০০৯ সাল। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে রিয়াল মাদ্রিদে পাড়ি জমান ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তখন বয়স মাত্র ২৪। ইতিহাস গড়ার নেশায় উন্মাতাল এক তরুণ। অভিষেক মৌসুমেই ৩৫ ম্যাচে ৩৩ গোল, ১০টি অ্যাসিস্ট। কিন্তু দলের হয়ে কোনো শিরোপা জেতা হয়নি।
২০২৪-২৫ মৌসুমে ঠিক সেই বয়সেই রিয়ালে পা রাখেন আরেক তরুণ- কিলিয়ান এমবাপ্পে। আর অভিষেকেই যেন ঝড় তুললেন ফরাসি এই বিশ্বকাপজয়ী তারকা।
আরও পড়ুন
» ২০২৬ বিশ্বকাপে মেসির খেলার ইঙ্গিত দিলো এএফএ
» বিপিএলের আগে আবারও মাঠে গড়াচ্ছে এনসিএল টি-টোয়েন্টি
মৌসুমজুড়ে মাঠে ছিল তার রাজত্ব। খেলেছেন ৫৯টি ম্যাচ। গোল করেছেন ৪৪টি, করিয়েছেন ৫টি। গোলের সংখ্যায় তো বটেই, ভিন্ন প্রতিযোগিতায় গোল করার সংখ্যাতেও ছাড়িয়ে গেছেন রোনালদোকে।
এক মৌসুমে ৭টি ভিন্ন প্রতিযোগিতায় গোল করে গড়েছেন রিয়াল ইতিহাসে এক অনন্য রেকর্ড।
লা লিগায় করেছেন সর্বোচ্চ ৩১ গোল। শুধু তাই নয়, ইউরোপজুড়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে জিতেছেন ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুট।
ক্লাবের হয়ে এমবাপ্পের অর্জন এখানেই শেষ নয়। রিয়ালের জার্সিতে নিজের প্রথম মৌসুমেই জিতেছেন দুটি আন্তর্জাতিক ট্রফি- উয়েফা সুপার কাপ এবং ফিফা ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ।
যা রোনালদো করতে পারেননি তার অভিষেক মৌসুমে।
সমর্থকেরা বলছেন, ‘গ্যালাকটিকো’ যুগের নতুন নায়ক হয়ে এসেছেন এমবাপ্পে। তার পায়ে যেমন গতি, তেমন আছে গোলবারের সামনে ঠাণ্ডা মাথার ক্ষিপ্রতা।
ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে তিনি এখনই ইতিহাস গড়েছেন। আর সামনে যে সময়টা পড়ে আছে, তা হতে পারে কিংবদন্তি গড়ার গল্প।
রোনালদো পথ দেখিয়েছেন, এমবাপ্পে এগিয়ে চলেছেন। ইতিহাস তাকে ডাকছে নতুন রাজত্ব গড়ার জন্য!
ক্রিফোস্পোর্টস/২৭জুলাই২৫/এসএ
