
পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) চতুর্থবারের মতো ফাইনালে উঠেছে লাহোর কালান্দার্স। চলতি আসরের দ্বিতীয় এলিমিনেটর ম্যাচে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডকে হারিয়ে ফাইনালে পা রেখেছে দুই আসরের চ্যাম্পিয়নরা। দলের জয়ে অবদান রেখে আইফোন উপহার পেয়েছেন চার ক্রিকেটার। যার মধ্যে একজন বাংলাদেশের লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন।
গতকাল শুক্রবার (২৩ মে) দ্বিতীয় এলিমিনেটর ম্যাচে ইসলামাবাদকে ৯০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে লাহোর। গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ২০২ রান সংগ্রহ করে লাহোর। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১১০ রানের বেশি করতে পারেনি ইসলামাবাদ।
লাহোরে বাংলাদেশিদের মধ্যে আছেন তিন ক্রিকেটার― সাকিব আল হাসান, মেহেদি হাসান মিরাজ ও রিশাদ হোসেন। গতকালের ম্যাচে একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন সাকিব ও রিশাদ। তবে ব্যাটে-বলে সাদামাটা ছিলেন সাকিব। অন্যদিকে রিশাদ বল হাতে ছিলেন দুর্দান্ত। বল হাতে দলের জয়ে বড় অবদান রাখেন এই লেগি।
আরও পড়ুন :
» ফাইনালে রিশাদের দল লাহোর কালান্দার্স, ম্যাচ কবে কখন?
» দেশের জার্সি গায়ে তোলার আগে হামজার সামনে আরেকটি বড় পরীক্ষা
এই ম্যাচে ৩ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ৩ গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন রিশাদ। ইনিংসের দশম ওভারে দ্বিতীয়বার বোলিংয়ে এসে সেট ব্যাটার সালমান আগাকে ফেরান রিশাদ। এর পরেই ওভারে অপর এক সেট ব্যাটার শাদাব খানকে ফেরান তিনি। একই ওভারে নিউজিল্যান্ডের মারকুটে অলরাউন্ডার জিমি নিশামকেও প্যাভিলিয়নে পাঠান এই স্পিনার।

ইসলামাবাদের বিপক্ষে ৩ উইকেট নেন রিশাদ। ছবি- পিসিবি
এই তিন ব্যাটার যেকোনো সময় ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে সক্ষম। তবে তাদেরকে ফিরিয়ে ম্যাচের পুরো নিয়ন্ত্রণ নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসেন রিশাদ। আর এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পুরস্কারও পেয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
ম্যাচ শেষে ড্রেসিংরুমে লাহোর ফ্র্যাঞ্চাইজির কর্ণধার সামিন রানা দলের জয়ে বড় অবদান রাখা চারজনকে আইফোন উপহার দেন। প্রথমে পুরস্কার পান ৩ উইকেট নেওয়া পেসার সালমান মির্জা। এরপর ফিফটি হাঁকানো দুই ব্যাটার মোহাম্মদ নাঈম ও কুশল পেরেরাকে আইফোন উপহার দেন তিনি। নাঈম ২৫ বলে ৫০ এবং পেরেরা ৩৫ বলে ৬১ রান করেছিলেন। আর সবার শেষে ঘোষণা করা হয় রিশাদের নাম।
এসময় লাহোরের মালিক বলেন, ‘রিশাদ তুমি সত্যিই আমাদের গর্বিত করেছ। চাপের মধ্যে তুমি তুমি ওদের মূল ব্যাটারদের আউট করেছ, যারা স্পিনের বিপক্ষে বেশ ভালো খেলে। তোমার জন্য থাকছে আইফোন।’
চলতি পিএসএলে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচ খেলে ১২ উইকেট শিকার করেছেন রিশাদ। কম ম্যাচ খেলেও আসরের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিদের তালিকায় সেরা দশে আছেন তিনি। তাছাড়া দলীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিদের তালিকায় তিনে অবস্থান করছেন। এক ও দুই নম্বরে থাকা শাহিন আফ্রিদি(১৬) ও হারিস রউফ (১৫) রিশাদের চেয়ে পাঁচটি করে ম্যাচ বেশি খেলেছেন।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৪মে২৫/বিটি
