
নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে উড়ন্ত শুরু পেয়েছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটের দাপুটে জয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। টাইগ্রেসদের জয়ের রাতে বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে ম্যাচসেরা হয়েছেন মারুফা আক্তার।
এদিন বল হাতে ৭ ওভারে ৩১ রান খরচ করে ২ উইকেট তুলে নেন মারুফা। তবে তার ওই দুটো উইকেটই বাংলাদেশকে বোলিংয়ে উড়ন্ত শুরু এনে দেয়। যে কারণে উইকেটের গুরুত্বের বিচারে ম্যাচসেরার পুরস্কারটি উঠেছে এই পেসারের হাতেই।
ম্যাচশেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মারুফা নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে বলেন, ‘শুরুতেই আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা। আমার দলের সবাইকেও ধন্যবাদ। তারা আমাকে অনেক সহোযোগিতা করে। বিশেষ করে সোবহানা মোস্তারি, আমি যখন বোলিং করি, সে আমাকে অনেক সাহস যোগায়।’
‘আমাদের অ্যানালিস্ট স্যার রাশেদ ইকবাল আমাকে দুই মাস আগে বলেছিলেন, মারুফা তোমাকে প্রথম ম্যাচে সেরা খেলোয়াড় হতে হবে। আমি সেটা করে দেখিয়েছি। তিনি আমাকে বলতেন, তুমি বনাম অন্যরা নয়, এটা তুমি বনাম তুমি—এটা বিশ্বাস করলে সাফল্য অর্জন করতে পারবে। আজ আমি করে দেখিয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ।’
মারুফা সবসময় বোলিংয়ে সুইং পছন্দ করেন। আজও তার বোলিংয়ে অনেক সুইং ছিল। বিশেষ করে তার নেওয়া প্রথম উইকেটের ডেলিভারিটা ছিল দারুণ এক ইনসুইংগার। কলম্বোর কন্ডিশনে এমন দুর্দান্ত সুইংয়ের মন্ত্র জানিয়ে মারুফা বলেন, ‘আমি প্রথম চারটা বল উইকেটের ভেতরে করেছিলাম। তখন বোলিংয়ে বেশ সুইং পাচ্ছিলাম এবং আমি আমার বোলিংয়ে লাইন এবং লেন্থ মেইনটেইন করেছিলাম।’
এদিন বোলিংয়ে নেমে বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন মারুফা। প্রথম ওভারেই জোড়া আঘাত হানেন তিনি। ওভারের পঞ্চম বলে দুর্দান্ত এক ইনসুইং ডেলিভারিতে ওমাইমা সোহেলকে ফেরান এই পেসার। গোল্ডেন ডাক মেরে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ওমাইমা। পরের বলেই তুলে নেন দ্বিতীয় উইকেট। এনার তার শিকার পাকিস্তানের ইনফর্ম ব্যাটার সিদরা আমিন। তিনিও ফেরেন গোল্ডেন ডাকে।
মারুফা উড়ন্ত শুরু এনে দেওয়ার পর অন্যান্য বোলারদের তোপে ১২৯ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। জবাবে ৭ উইকেট ও ১১৩ বল হাতে রেখেই ম্যাচটি জিতে নেয় টাইগ্রেসরা।
ক্রিফোস্পোর্টস/২অক্টোবর২৫/বিটি
