
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির পদ হারিয়েছেন ফারুক আহমেদ। গত ২৯ মে তার বিসিবি পরিচালকের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। এর ফলে বিসিবি সভাপতির পদ হারান জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক প্রধান নির্বাচক।
গত আগস্টে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বিসিবি সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ান নাজমুল হোসেন পাপন। আর পাপনের স্থলাভিষিক্ত হয়ে চেয়ারে বসেন ফারুক। তবে ৯ মাস না যেতেই পদ হারালেন তিনি। তার এমন বিদায়ের পর মুখ খুলেছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
ফারুক সভাপতির দায়িত্ব নিয়েই হাথুরুসিংহেকে অপসারণের কথা জানিয়েছিলেন। আর শেষ পর্যন্ত তিনি সেটাই করেন। ভারত সিরিজের পরই তাকে বরখাস্ত করে বিসিবি। দায়িত্বে অবহেলা ও আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে তাকে কোচের পদ থেকে অপসারণ করে ফারুকে নেতৃত্বাধীন বোর্ড। যদিও বিসিবির অভিযোগ অস্বীকার করেন হাথুরু এবং তার বরখাস্তের পেছনে ফারুকের একক ভূমিকা দেখেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন :
» স্কোয়াড ঘোষণায় আর্জেন্টিনার চমক, ৬ মাস পর ফিরলেন মেসি
» সিরিজ হারের পর আইসিসি থেকেও দুঃসংবাদ পেল বাংলাদেশ
অবশ্য এই বিষয়টি এখন সামনে এসেছে। ফারুক অন্য পরিচালকদের মতামত না নিয়েই নিজে থেকেই হাথুরুকে বরখাস্ত করেছিলেন। সম্প্রতি এনএসসিকে বিসিবির ৮ পরিচালকের পাঠানো অনাস্থা চিঠিতে বিষয়টি উঠে এসেছে।
ফারুককে এভাবে অপসারণের খবরে হয়ত বেশ খুশিই হবেন হাথুরুসিংহে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্টও করেছেন এই লঙ্কান কোচ।
লিংকডইনে দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘সাধারণত আমার কাজই আমার হয়ে কথা বলে। তবে, বাংলাদেশ ক্রিকেটে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার কারণে আবারও আলোচনায় এসেছি। বিসিবি সভাপতিকে যে কারণে অপসারণ করা হয়েছে, তার মধ্যে একটি কারণ ছিল আমাকে যথাযথ প্রক্রিয়া না মেনে বরখাস্ত করার পদ্ধতি। বোর্ডের সকল পরিচালকদের মতামত ছাড়াই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। মাঠে এবং মাঠের বাইরে স্বচ্ছতা, প্রক্রিয়া ও সম্মান সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ।’
এদিকে হাথুরুসিংহেকে অপসারণের পর বাংলাদেশ ক্রিকেটে লক্ষণীয় কোনো উন্নতি আসেনি। উলটো দিন দিন আরও অবনতি হচ্ছে দলটির। সম্প্রতি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের পর এবার টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়েও অবনতি হয়েছে টাইগারদের।
ক্রিফোস্পোর্টস/৩১মে২৫/বিটি
