
আগামীকাল (সোমবার) অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এর পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন। এবারের নির্বাচন নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে নানা নাটকীয়তা। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ঢাকার বেশিরভাগ ক্লাবের কাউন্সিলররা।
প্রার্থিতা প্রত্যাহার করার প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হলেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। বিসিবি সভাপতি পদেও তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা শোনা গেলোও প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন এই সাবেক দেশসেরা ওপেনার।
বিসিবি নির্বাচনের ঠিক আগের দিন আজ (রোববার) বিসিবিতে হাজির হন বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারকারী সদস্যদের বিষয়ে তিনি বলেন,’নির্বাচন যারা বয়কট করেছেন এটা তাদের একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার।’ তিনি আরো বলেন, ‘যারা এখানে আসছে না বা বয়কট করেছে, সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন করতে যাচ্ছি। এর বাইরে কোনো কথা বলবো না।’
বিসিবি নির্বাচনে বুলবুলকে ক্রিয়া উপদেষ্টার বাড়তি সহযোগিতার অভিযোগ উঠে আসছে অনেকদিন ধরেই। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমার ঠিক মনে নেই, কবে আমি বলেছি ক্রীড়া উপদেষ্টা আমাকে অনুরোধ করেছেন বা ক্রীড়া উপদেষ্টা সহযোগিতা করেছেন, যে সময়সীমার মধ্যে আমি কাজ করছিলাম।’
তবে ক্রিয়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ কে ধন্যবাদ জানিয়ে বুলবুল বলেন, ‘তাকে (ক্রীড়া উপদেষ্টা) আমি ধন্যবাদ দিতে চাই আরেকটা কারণে। তিনি একজন মন্ত্রী পদমর্যাদার মানুষ। আমি জানি তিনি রাজশাহীতে গিয়েছেন। শুধু সুষ্ঠু নির্বাচন নয়, চেষ্টা করেছেন যেন ভালো বোর্ড তৈরি করতে পারি। এখানে আমার কাছে প্রভাব খাটানোর মতো কিছু মনে হয়নি।’
ক্রিকেট নিয়ে নিজের পরিকল্পনার কথা বলতে গিয়ে বুলবুল জানান, ‘আমার মনে হয়েছে যে, বাংলাদেশের ক্রিকেটের স্বার্থে আমাকে চালিয়ে যেতে হবে। যারা আমাকে ভোট দিচ্ছেন বা দেবেন না, কিংবা আপনারা যারা আছেন, যদি মনে করেন যে আমি যথেষ্ট যোগ্য নই, তবে আমি যেকোনো সময় সরে যেতে প্রস্তুত। তবে একই সঙ্গে আমার একটাই লক্ষ্য– বাংলাদেশ ক্রিকেট (এর উন্নতি)।’
এবারের বিসিবির নির্বাচনে এবার ঢাকা বিভাগ থেকে পরিচালক পদে দাঁড়িয়েছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে চলেছেন। এরপর তিনি সভাপতি পদে লড়বেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ক্রিফোস্পোর্টস/৫অক্টোবর২৫/এআই
