ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ম্যাচটা হাতছাড়া হয়েছে এটা ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনেই স্বীকার করেছেন ওপেনার তানজিদ তামিম। চট্টগ্রামে জয়টা একদম নাগালের মধ্যে ছিল। হাতে ছয় উইকেট, ১৭ বলে দরকার ছিল মাত্র ৩৩ রান। তাও শেষে জয় মেলেনি। ৪৮ বলে ৬১ রান করে ফিরে এসে তানজিদ নিজের ওপরই দোষটা নিলেন।
ম্যাচ শেষে হতাশ ভঙ্গিতে তিনি বললেন, “জিততে না পারলে আসলে কিছুই মূল্য নেই। উইকেট এমন ছিল, যাদের সেট হয়ে গেছে, তাদেরই শেষ করতে হতো। নতুনদের জন্য শট খেলা কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। আমি যদি শেষ পর্যন্ত থাকতে পারতাম, খেলা বেরিয়ে আসত।”
লিটন দাস টসে জিতে বলেছিলেন, উইকেট ভালো, ১৮০ রান হলে যথেষ্ট। কিন্তু বোলাররা তার চেয়েও ভালো করেছে। মুস্তাফিজ, নাসুম, রিশাদের দারুণ বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেমে গেছে ১৪৯ রানে।
১৫০ রান টি-টোয়েন্টিতে বড় কিছু না। লিটন আর তাওহীদ ভালো শুরু এনে দিয়েছিল। কিন্তু প্রথম ম্যাচের মত দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও মিডল অর্ডারে ধস নামে। সাইফ হাসান সুবিধা করতে পারেনি, লিটন আউট ২৩-এ, তাওহীদও বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি। একপাশ ধরে লড়ছিলেন তানজিদ, শেষ পর্যন্ত অন্যদের ব্যর্থতায় তাকেও চাপের মুখে আউট হতে হলো। শেষ তিন ওভারে বাংলাদেশ তুলেছে মাত্র ১৮ রান। ১৪ রানে হেরে সিরিজও হাতছাড়া।
তানজিদ বললেন, উইকেটও বড় ফ্যাক্টর ছিল। “উইকেটটা একটু স্টিকি ছিল, ঠিকঠাক ব্যাটে আসছিল না। ওদেরও একই সমস্যা হয়েছিল। নতুন ব্যাটার গেলেই মারতে পারছিল না। তাই যারা সেট ছিল, তাদেরই শেষ করতে হতো,” এভাবেই বললেন তিনি।
নিজের ইনিংস নিয়ে আফসোসও করলেন তানজিদ। “আমার দায়িত্বটা বেশি ছিল। শেষ পর্যন্ত থাকতে পারলে ফল অন্যরকম হতে পারত। ওই জায়গায় আমি দায়িত্ব নিতে পারিনি,” বললেন বাঁহাতি ওপেনার।
উল্লেখ্য, তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ১৬ রানে হেরেছিল। এবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১৪ রানে হেরে সিরিজ হাতছাড়া করলো টাইগাররা।
ক্রিফোস্পোর্টস/৩০অক্টোবর২৫/টিএ