পুরো ম্যাচ জুড়ে ছিল টানটান উত্তেজনা। টটেনহ্যাম দুইবার এগিয়ে গিয়েছিল, কিন্তু প্রতিবারই পিএসজি দ্রুত ম্যাচে ফিরেছে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে পিএসজির অসাধারণভাবে ফিরে আসার সামনে স্পার্স আর টিকে থাকতে পারেনি। আট গোলের ম্যাচটি শেষ হলো ৫–৩ ব্যবধানে পিএসজির জয়ের মধ্য দিয়ে।
বুধবার রাতে ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে আলাদাভাবে নজর কাড়েন নেন ভিতিনহা। তাছাড়াও পিএসজির হয়ে একটি করে গোল করেন রুইস আর পাচো।
ম্যাচের শুরু থেকেই পিএসজি বল দখলে আধিপত্য দেখালেও গোল পায় টটেনহ্যামই। ৩৫ মিনিটে কোলো মুয়ানির হেডে বল যায় রিছার্লিসনের কাছে। সেখান থেকেই গোল করে বসেন তিনি।
তবে এই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি তারা। প্রথমার্ধের শেষদিকে দুর্দান্ত দূরপাল্লার শটে গোল করে সমতায় ফেরান ভিতিনহা। বিরতির আগে এটিই ছিল দুই দলের একমাত্র লক্ষ্যে নেওয়া শট।
বিরতির পর দ্বিতীয়ার্ধে খেলা আরও জমে ওঠে। ৫০ মিনিটে টটেনহ্যামকে আবার এগিয়ে দেন কোলো মুয়ানি। কিন্তু এই লিডও বেশিক্ষণ টেকেনি। আবারও গোল, আবারও সমতা। তিন মিনিট পর বক্সে ঢুকেই জোরাল শটে স্কোরলাইন সমান করেন ভিতিনহা।
এরপরই ম্যাচ পুরোপুরি পিএসজির দিকে চলে যায়। ৫৯ মিনিটে নেভেসের থ্রু–বল থেকে রুইস প্রথমবারের মতো সমতা থেকে দলকে এগিয়ে নেন। এই গোলের ছয় মিনিটের মধ্যেই ভীড়ের মাঝ থেকে বল ঠেলে গোল করে ব্যবধান বাড়ান পাচো।
তারপর ৭২ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করে আবার খেলা জমিয়ে তুলেন কোলো মুয়ানি। কিন্তু চার মিনিট পর পেনাল্টি থেকে ভিতিনহা হ্যাটট্রিক পূরণ করলে আর সুযোগ পায়নি টটেনহ্যাম।
শেষ দিকে লুকাঁ এরনঁদেজ লাল কার্ড দেখলেও পিএসজির জয় ছিনিয়ে নিতে পারেনি। টটেনহ্যামকে হারিয়ে আগের জয়ের ধারাবাহিকতাই ধরে রাখল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
এদিকে পাঁচ ম্যাচে চার জয় নিয়ে পিএসজি উঠেছে গ্রুপের দুই নম্বরে। সমান পয়েন্ট নিয়ে পরের তিনটি স্থানে বায়ার্ন মিউনিখ, ইন্টার মিলান ও রেয়াল মাদ্রিদ। টটেনহ্যাম নামতে হয়েছে ১৬ নম্বরে।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৭নভেম্বর২৫/টিএ