আগামী বছরের মার্চ–এপ্রিলে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা থাকলেও পাকিস্তানের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম অনুযায়ী, এই সফরে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেব দুটি টেস্টের পাশাপাশি তিনটি করে ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি খেলার কথা ছিল। তবে বিভিন্ন সূত্রমতে নির্দিষ্ট সময়ে হচ্ছেনা বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজের ম্যাচগুলো।
পাকিস্তানি গণমাধ্যম জিও সুপারের খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) সূচির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় বাংলাদেশ সফর পিছিয়ে যেতে পারে। রোববার পিএসএলের ১১তম আসরের সূচি ঘোষণা করেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নাকভী। সেই সূচি অনুযায়ী, আগামী ২৬ মার্চ থেকে শুরু হয়ে ৩ মে পর্যন্ত চলবে পিএসএল।
এতে করে মার্চ–এপ্রিলে নির্ধারিত বাংলাদেশ সফরের সময়সূচি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। বিসিবির একটি বিশ্বস্ত সূত্রও বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বিসিবির সূত্র মতে, পাকিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজ অন্য কোনো উইন্ডোতে আয়োজনের সম্ভাবনাই বেশি। তবে সিরিজে ম্যাচের পরিমাণ কমানোর কোনো পরিকল্পনা নেই।
বিসিবির ওই সূত্র মতে, সিরিজের সূচি নতুন করে নির্ধারণ করা হবে এবং এ নিয়ে দুই বোর্ডের মধ্যে আলোচনা চলছে। ম্যাচের সংখ্যা কোনোভাবেই কমবে না। উভয় পক্ষের সম্মতিতে কোনো উপযুক্ত সময় ঠিক করে দ্রুতই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, প্রয়োজনে ওয়ানডে কিংবা টি–টোয়েন্টি ম্যাচের সময়সূচিতে সামঞ্জস্য আনা হতে পারে। পিসিবির সঙ্গে আলোচনা শেষ হলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে পাঁচটি দল নিয়ে শুরু হয়েছিল পাকিস্তান সুপার লিগ। ২০১৮ সালে একটি দল বাড়িয়ে টুর্নামেন্টটি ছয় দলে আয়োজন করা হতো। আসন্ন আসরে নতুন করে আরও দুটি দল যুক্ত হচ্ছে। ফলে পিএসএলের সময়কালও বড় হচ্ছে।
এদিকে, সবশেষ গত জুলাইয়ে বাংলাদেশ সফর করেছিল পাকিস্তান দল। সেই তিন ম্যাচের সিরিজে ২–১ ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল বাংলাদেশ। এবার পূর্ণাঙ্গ সিরিজকে ঘিরে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৫ডিসেম্বর২৫/টিএ
