
শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন তামিম ইকবালসহ আরও অন্তত ১৫ জন প্রার্থী। বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় নির্ধারিত ছিল। সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই তিনটি ক্যাটাগরি থেকে একযোগে সরে দাঁড়ান তারা।
মনোনয়ন প্রত্যাহারের পর গণমাধ্যমের সামনে এসে ক্ষোভ ঝাড়লেন সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে সরাসরি প্রশ্নবিদ্ধ করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ক্রিকেট এটা ডিজার্ভ করে না। বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরাও এটা ডিজার্ভ করে না। আমি জানি না সবাই স্বীকার করবেন কি না, কিন্তু আজকে আরও অনেকেই সরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। তাদেরকে বিভিন্নভাবে বোঝানো হয়েছে, চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে, থামানো হয়েছে। না হলে সংখ্যা আরও বড় হতো।”
তামিমের দাবি, মাত্র একদিনেই ১৫ জন প্রার্থী সরে দাঁড়ানো একটি বড় ইঙ্গিত। তার ভাষায়, “প্রায় ফিফটিন পার্সেন্ট প্রার্থী সরে দাঁড়িয়েছে। এটা কোনো ছোট সংখ্যা না। এর মধ্য দিয়ে স্পষ্ট যে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অস্বাভাবিক কিছু ঘটেছে। আমি এখন সব খুলে বলছি না, তবে ভবিষ্যতে অবশ্যই বিস্তারিত বলব।”
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের মূল বক্তব্যে তামিম বলেন, “আপনারা নির্বাচন জিততে পারেন, হারতেও পারেন। কিন্তু আজকে ক্রিকেট শতভাগ হেরে গেছে-এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আপনারা বড় গলায় বলেন বাংলাদেশে ফিক্সিং বন্ধ করতে হবে। আগে নির্বাচনের ফিক্সিং বন্ধ করেন, তারপর ক্রিকেটের ফিক্সিং নিয়ে কথা বলেন।”
তামিম আরও অভিযোগ করেন, নিয়ম-কানুন ইচ্ছেমতো বদলে সুবিধা দেওয়া হয়েছে। সময়ও ইচ্ছামতো পরিবর্তন করা হয়েছে। তার ভাষায়, “কারা কারা কোন সময়ে, কোনভাবে হস্তক্ষেপ করেছে সবাই পরিষ্কার জানে। নিয়ম যখন দরকার বদলানো হয়েছে। এভাবে কোনো নির্বাচন হতে পারে না।”
নিজের বক্তব্যের শেষ অংশে তামিম এ নির্বাচনকে বিসিবির ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “এই নির্বাচন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের জন্য একটা কালো দাগ হয়ে রইল। যারা এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তারাও জানেন এটা কোনোভাবেই প্রকৃত নির্বাচন ছিল না।”
তামিম আশ্বাস দিয়েছেন, ভবিষ্যতে সময়মতো তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন। তবে আপাতত তিনি এটুকুই জানিয়ে যান যে, বিসিবি নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার আসলে বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য বড় ক্ষতি এবং অপমান।
ক্রিফোস্পোর্টস/১অক্টোবর২৫/টিএ
