বাংলাদেশের হারটা এড়ানো যেত এমনই বিশ্বাস তানজিম হাসান সাকিবের। ম্যাচ শেষে তাঁর কণ্ঠে শোনা গেল আফসোস, “যদি একজন সেট ব্যাটসম্যান শেষ পর্যন্ত থাকতে পারত, ফলটা হয়তো অন্যরকম হতো।”
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ১৬৬ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ এক পর্যায়ে ৫৭ রানে হারায় ৫ উইকেট। সেখান থেকে শেষ দুই ওভারে জয়ের সমীকরণ নেমে আসে ৩০ রানে। হাতেও ছিল মাত্র একটি উইকেট। অসম্ভব না হলেও কঠিন কাজটা তখনও সম্ভব মনে হচ্ছিল।
তানজিম বললেন, “শেষের দিকে শিশিরের কারণে বল ব্যাটে ভালো আসছিল। একটা সেট ব্যাটসম্যান থাকলে ম্যাচটা আমাদের হাতে থাকত। শেষ দুই ওভারে ৩০ রান কঠিন না।”
বাংলাদেশের জন্য লড়াইটা জমিয়ে দিয়েছিলেন তানজিম ও নাসুম আহমেদ। সপ্তম উইকেটে দুজন মিলে ২৩ বলে ৪০ রান যোগ করেন। তানজিম করেন ২৭ বলে ৩৩ রান, তবে শেষ পর্যন্ত জয়টা আসেনি। তাঁর গলায় ছিল হতাশার সুর, “শেষ পর্যন্ত থাকতে পারলে খুব ভালো লাগত। বল ভালো ব্যাটে আসছিল, নাসুম ভাইও ভালো সাপোর্ট দিচ্ছিলেন। মনে হচ্ছিল, আমি যেন কোনো ব্যাটসম্যানের সঙ্গেই ব্যাট করছি।”
তবে মূল সমস্যা শুরু হয়েছিল ইনিংসের শুরুতেই। পাওয়ারপ্লেতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ পিছিয়ে যায়। তানজিমও মেনে নিলেন সেটা, “উইকেটগুলো পাওয়ারপ্লেতেই চলে গেছে। ব্যাটসম্যানরা যদি সেট হয়ে খেলতে পারত, চিত্রটা ভিন্ন হতো।”
বাংলাদেশ লড়েছে, কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতাই হার ডেকে এনেছে। তানজিমের মতে, “দল হিসেবে সবাইকে আরও দায়িত্ব নিতে হবে। দায়িত্ব ছাড়া জেতা যায় না।”
উল্লেখ্য, তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হার দিয়ে শুরু করেছে বাংলাদেশ। ১৬৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৪ ওভারে ১৪৯ রানেই গুটিয়ে যায় টাইগাররা। ফলে সিরিজ বাঁচানোর জন্য পরের ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের কোনো বিকল্প নেই।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৮অক্টোবর২৫/টিএ