ব্রিসবেনে দারুণ এক সেঞ্চুরি পেলেও শেষ পর্যন্ত হারের তিক্ততা এড়াতে পারলেন না জো রুট। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কখনো তিন অঙ্কে পৌঁছাতে না পারার আক্ষেপটা তিনি প্রথম ইনিংসেই ঝেড়ে ফেলেছেন, করেছিলেন সেঞ্চুরি। কিন্তু দলের ভাগ্য বদলাতে পারেননি। অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টেও ইংল্যান্ডকে হার মেনে নিতে হলো, আর তাতেই রুটের সামনে হাজির হলো এক অনিচ্ছিত বিশ্ব রেকর্ড। প্রতিপক্ষের মাটিতে সবচেয়ে বেশি টেস্ট ম্যাচ খেলেও জয় না পাওয়া ব্যাটার বনে গেলেন জো রুট।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তাঁর টেস্ট–ক্যারিয়ারের এটি ছিল ১৬তম ম্যাচ। আগের ১৫টির মতো এবারও জয় পেল না ইংল্যান্ড। ফলে প্রতিপক্ষের মাঠে সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলে জয়হীন থাকার তালিকায় এখন এককভাবে শীর্ষে অবস্থান করছেন রুট। এতদিন এই রেকর্ডটি ছিল ভারতের কপিল দেবের সঙ্গে যৌথভাবে। পাকিস্তানে ১৫ টেস্ট খেলেও কখনো জেতেননি কপিল। তবে রুটের পরিসংখ্যান আরও বিবর্ণ। ১৫ ম্যাচ নয়, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ১৬ ম্যাচে ইংল্যান্ডের ড্র মাত্র ২, বাকি ১৪টিতেই হারের স্বাদ পেয়েছে তারা।
এই ধারাবাহিক ব্যর্থতা রুটকে আরেকটি রেকর্ডের দোরগোড়ায় এনে দিয়েছে। নির্দিষ্ট প্রতিপক্ষের মাঠে সবচেয়ে বেশি টেস্ট হারার তালিকায় এখন তিনি যৌথভাবে দ্বিতীয়। তাঁর দুই সাবেক সতীর্থ জেমস অ্যান্ডারসন ও অ্যালিস্টার কুক দুজনই অস্ট্রেলিয়ায় হেরেছেন ১৫টি করে টেস্টে। পার্থক্য হলো, অ্যান্ডারসন–কুকরা অন্তত অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তিনটি জয় দেখেছেন। রুট এখনো সেই স্বাদটিই পাননি।
যদিও ব্রিসবেনে ব্যাট হাতে উজ্জ্বল ছিলেন তিনি। ১৩৮ রানের ঝলমলে ইনিংসেও বদলায়নি ইংল্যান্ডের ভাগ্য। টানা হারের এই ধারা অস্ট্রেলিয়ায় তাঁর ক্যারিয়ারে এক অবাঞ্ছিত অধ্যায় হিসেবে লিখা থাকবে।
উল্লেখ্য, অ্যাশেজ বর্তমানে দ্বি-বার্ষিকাকারে পালাক্রমে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় ১৮ থেকে ৩০ মাসের ব্যবধানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অ্যাশেজে পাঁচটি টেস্ট ম্যাচ, প্রতি ম্যাচে দুই ইনিংস নিয়ে টেস্ট ক্রিকেটের যাবতীয় আইন-কানুন প্রতিপালন করে অনুষ্ঠিত হয়। কোন কারণে সিরিজ ড্র হলে আগের অ্যাশেজ বিজয়ী দলের কাছেই ট্রফিটি রক্ষিত থাকে।
ক্রিফোস্পোর্টস/৮ডিসেম্বর২৫/টিএ