
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সোনালি প্রজন্মের হাত ধরে বিশ্বমঞ্চে পরিচিতি পেয়েছে লাল-সবুজ। মাশরাফি, সাকিব, তামিমদের যুগের পর এখন সামনে এগিয়ে আসছে একদল নতুন মুখ। এই উদীয়মান তারুণ্যের হাত ধরে নতুন স্বপ্ন দেখছে দেশের ক্রিকেট।
অভিজ্ঞদের বিদায়ে সেই জায়গা পূরণ করছে তরুণরা। সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় দল ও ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফরম্যান্সে আলো ছড়াচ্ছেন একঝাঁক নতুন মুখ।
নাজমুল হোসেন শান্ত ব্যাট হাতে দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে ইতোমধ্যে হয়ে উঠেছেন দলের অন্যতম ভরসা। তাওহীদ হৃদয় আক্রমণাত্মক স্ট্রোকপ্লেতে দলকে দিচ্ছেন গতি। আর জাকির হাসান আলো ছড়াচ্ছেন টেস্ট দলে সম্ভাবনাময় ব্যাটার হিসেবে।
এছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের মাধ্যমে মাহমুদুল হাসান জয় ও শাহাদাত হোসেন দীপু জাতীয় দলে জায়গা পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।
পেস বোলিংয়ে উঠে আসছেন তানজিম হাসান সাকিব ও রিপন মণ্ডলের মতো প্রতিভাবানরা। স্পিন বিভাগেও নতুন সম্ভাবনা রিশাদ হোসেন। তার সঙ্গে নাসুম আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স বজায় আছে।
তরুণদের প্রস্তুত করতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বাড়িয়েছে হাই-পারফরম্যান্স ইউনিট ও ‘এ’ দলের ম্যাচের সংখ্যা। শক্তিশালী ঘরোয়া ক্রিকেট কাঠামো তৈরি করতেও কাজ চলছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে তরুণরা আন্তর্জাতিক মানে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারবে।
ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মতে, ভবিষ্যতের বাংলাদেশ দল হবে অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশ্রণ। সিনিয়রদের অভিজ্ঞতা আর তরুণদের আগ্রাসন একসঙ্গে হলে দলের শক্তি বহুগুণে বাড়বে।
উদীয়মান তারুণ্য যদি পারফরম্যান্স ও আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে পারে, তবে আগামী দিনের বাংলাদেশ ক্রিকেট হবে আরও শক্তিশালী ও প্রতিযোগিতামূলক।
ক্রিফোস্পোর্টস/২আগস্ট২৫/এসএ/এনজি
