বাংলাদেশ জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেলে মিনহাজুল আবেদীন নান্নু অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটে গত বচজর। নান্নুর নেতৃত্বাধীন প্যানেল দীর্ঘ আট বছর দায়িত্ব পালন করেছে। এরপর নতুন করে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর হাতে। এই প্যানেলে তার সঙ্গী ছিলেন হান্নান সরকার ও আব্দুর রাজ্জাক।
তবে এই তিনজনের প্যানেল দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়নি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় দলের নির্বাচকের পদ থেকে সরে দাঁড়ান হান্নান। কোচিং পেশায় মনোযোগী হতেই এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি। হান্নানের পদত্যাগের পর লিপু ও রাজ্জাক মিলেই অনেকদিন দায়িত্ব চালিয়ে গেছেন।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে হান্নানের জায়গায় নতুন নির্বাচক নিয়োগ দেয় বোর্ড। প্যানেলের তৃতীয় সদস্য হিসেবে হাসিবুল হোসেন শান্তকে দায়িত্ব দেয় বোর্ড। তাতে তিনজন নিয়েই ফের চলতে থাকে নির্বাচক প্যানেল। তবে একই মাসে নির্বাচকের পদ থেকে সরে দাঁড়ান রাজ্জাক। বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে অংশ নিতেই এমন সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তাতে ২ জন নিয়েই চলছে নির্বাচক প্যানেল।
বর্তমানে নির্বাচক প্যানেলে একটি পদ ফাঁকা রয়েছে। সেখানে নতুন একজন নির্বাচক নিয়োগ দিতে চায় বোর্ড। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেই নতুন নির্বাচকের খোঁজে নেমেছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এ প্রসঙ্গে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদিন ফাহিম গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমরা যখনই যোগ্য কাউকে পেয়ে যাব তখনই নিয়োগ দিব। বিশ্বকাপের আগে বা পরে নিতে হবে বিষয়টা এমন না। আমরা যখনই ভালো কাউকে পাবো, নিয়ে নিব।’
এর আগে ২০১৬ সাল থেকে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন নান্নু। তার সঙ্গে ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন। পরে এই দুজনের সঙ্গে যোগ দেন আব্দুর রাজ্জাক। বেশ কয়েকটি মেয়াদে বোর্ডের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তারা। তাদের সবশেষ মেয়াদ শেষ হয় ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে। এরপর আর নতুন করে মেয়াদ বাড়ায়নি বোর্ড। তবে নতুন প্যানেল থেকে নান্নু ও সুমন বাদ পড়লেও টিকে ছিলেন রাজ্জাক।
ক্রিফোস্পোর্টস/৪ডিসেম্বর২৫/বিটি