
এশিয়া কাপে অধিনায়ক ছিলেন লিটন কুমার দাস। তবে পাজরের চোটের কারণে সুপার ফোরের শেষ দুই ম্যাচে একাদশে থাকতে পারেননি তিনি। তার পরিবর্তে অধিনায়কত্ব করেন জাকের আলি। কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্টের এই সিদ্ধান্তকে সঠিক মনে করেননি পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম।
এশিয়া কাপে শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে দারুণ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। ওয়াসিম আকরামের মতে, সুপার ফোরের শেষ দুই ম্যাচের একাদশ আরও শক্তিশালী করা যেত। ইনজুরির কারণে লিটনের পরিবর্তে অধিনায়কের দায়িত্ব পান জাকের আলি অনিক। তবে তার জায়গায় যদি তাসকিন আহমেদকে অধিনায়ক করা হতো, বাংলাদেশ আরও ভালো খেলতে পারত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পেসাররা স্বভাবতই আক্রমণাত্মক হয়ে থাকে এবং বেশিরভাগ সময় ইনজুরিতে ভোগে, যার কারণে তাদের একাদশে থাকা অনিয়মিত হয়ে যায়। তাসকিনও এর ব্যতিক্রম নন। বিসিবি তাকে বিশ্রামনীতির অংশ হিসেবে খেলায়। কিছুদিন আগে ব্যক্তিজীবনে বন্ধুর সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তাসকিন। গুঞ্জন ছিল, ব্যক্তিজীবনে সুশৃঙ্খল না হওয়ায় বিসিবি তাকে অধিনায়ক করেনি।
তবে এই যুক্তিকে আমলে নেননি ওয়াসিম আকরাম। তার মতে, পেসাররা কিছুটা বেশি আক্রমণাত্মক ও রাগী হলেও তা অধিনায়কত্বের ক্ষেত্রে সমস্যা নয়।
গতকাল দুবাইয়ে আজকের পত্রিকাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে ওয়াসিম বলেন,তাসকিন আহমেদের কথা যদি বলি, গত চার-পাঁচ বছর ধরে তার বোলিং আমাকে ভীষণ মুগ্ধ করেছে। আমি ভেবেছিলাম সে হয়তো পাকিস্তানের বিপক্ষে অধিনায়ক হবে। শুনেছি, তাসকিন খুব একটা সুশৃঙ্খল নন। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না, ফাস্ট বোলাররা সুশৃঙ্খল হয় না—তাদের ভেতরে আগুন থাকে। আর সেই আগ্রাসন দিয়েই তারা ভালো নেতা হতে পারে।
সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহও প্রকাশ করেছেন তিনি। যদিও সেটি দীর্ঘমেয়াদে নয়, স্বল্প সময়ের জন্য হবে বলে জানান ওয়াসিম। তবে বিষয়টি সম্পূর্ণ বিসিবির ওপর নির্ভর করবে।
সাবেক এই কিংবদন্তি পেসার বলেন,আমি কিছুদিনের জন্য কাজ করতে পারি। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে কাজ করব কিনা, এখনই বলা কঠিন। বাংলাদেশ দলে মুশতাক আহমেদের মতো একজন দুর্দান্ত কোচ আছেন। এছাড়া ফিল সিমন্স, শন টেইটও ভালো কাজ করছেন। দেখা যাক বিসিবি আমাকে কীভাবে দেখে। বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ সত্যিই অবিশ্বাস্য।
এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্ব ও সুপার ফোর মিলিয়ে বাংলাদেশ মোট ৬ ম্যাচ খেলেছে। এর মধ্যে তাসকিন খেলেছেন ৪ ম্যাচ। প্রতিটি ম্যাচেই তিনি প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের চাপে রেখেছেন। ৮.৫৬ ইকোনমি রেটে বল করে নিয়েছেন ৮ উইকেট। এর মধ্যে ২৫ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের বিপক্ষে “অলিখিত সেমিফাইনালে” নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। তবে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় বাংলাদেশ হেরে যায় ১১ রানে।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৯সেপ্টেম্বর২৫/এনজি
