
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচটা হয়তো এত সহজেই ভুলে যাবেন না দেশের ফুটবল অনুরাগীরা। যেই ম্যাচ ঘিরে দেশের রীতিমতো ঘটে গেছে ফুটবলের নয়াজাগরণ। সমর্থকদের অকল্পনীয় আগ্রহ ও উন্মাদনা দেখা যায় সেসময়। এবার সিঙ্গাপুর ম্যাচের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন জাতীয় দলের ফুটবলার তপু বর্মন।
সম্প্রতি দেশের এক গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে তপু জানিয়েছেন নিজের ফুটবল ক্যারিয়ারে এত দর্শকের সামনে খেলেননি তিনি। আসলেই এর আগে কবে বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে এতটা আগ্রহ ছিল সমর্থকদের তা মনে করা কঠিন। যেখানে রীতিমতো সংগ্রাম করেও ম্যাচের টিকিট পাননি হাজারো দর্শক। দেশের বিভিন্ন স্থানে বড় স্ক্রিনে উপভোগ করা হয়েছে খেলা।
ফুটবলে এমন উন্মাদনার কারণ হিসেবে হামজা-সামিতদের আগমনের কথা উল্লেখ করে তপু বলেন, ‘আমি যখন থেকে ফুটবল খেলা শুরু করি এত দর্শকের সামনে খেলিনি কখনো। এটা অবশ্যই হামজা-সামিতদের কারণে হয়েছে। হামজা আসাতেই বাকিরা আগ্রহী হয়েছে। তাদের অবশ্যই ওয়েলকাম জানাই। ওদের সঙ্গে আমাদের দারুণ একটা সম্পর্ক হয়েছে। আমরাও তাদের বাংলাদেশি ফুটবলার হিসেবেই নিয়েছি।’
আরও পড়ুন:
» নাপিত-কাঠমিস্ত্রি-কর্মীদের নিয়ে গড়া দল খেলবে ক্লাব বিশ্বকাপে
» রেকর্ড মূল্যে রিয়ালে পাড়ি জমালেন আর্জেন্টাইন ফুটবলার
তবে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ হারবে বাংলাদেশ তা চিন্তাও করেননি তিনি, ‘আর এই ম্যাচটাতে আমরা হেরে যাব এটা কখনই ভাবিনি। আমাদের চিন্তা ছিল গোল হজম করব না। গোল দেব এবং ম্যাচটা বের করে নেব। ৪৪ মিনিট পর্যন্ত কোনো ঝামেলা হয়নি। এরপর আমরা একটা বাজে গোল হজম করি। দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের খেলার ধরন বদলে যায়। অনেক অ্যাটাকিং খেলেছি।’
বাংলাদেশের ফুটবল ঘিরে যেমন উন্মাদনা তৈরি হয়েছে সেটা আবার অচিরেই হারিয়ে যাবে কিনা, সেই প্রশ্নের জবাবে তপু বলেন, ‘সবকিছুর মূল হচ্ছে পারফরম্যান্স। ম্যাচ জিতলে দর্শকদের আগ্রহ বাড়বে। আমরা যত বেশি ম্যাচ খেলব তত বেশি ম্যাচ জেতার সামর্থ্য বাড়বে। জয়ের অভ্যাস গড়ে উঠবে। জিততে দেখলে মানুষ আরও মাঠমুখী হবেন।
উল্লেখ্য, সেই ম্যাচে প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর বিরতি থেকে ফিরে দ্বিতীয়ার্ধে আরেক গোল খেয়ে বসে স্বাগতিকরা। তবে রাকিবের গোলে আবারও ম্যাচে ফেরার আভাস দেয় বাংলাদেশ। খেলার শেষ বাঁশি বাজা পর্যন্ত ম্যাচে সমতা ফেরাতে আপ্রাণ চেষ্টা করলেও হামজারা পরাজিত হয় ২-১ ব্যবধানে।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৪জুন২৫/এফএএস
