ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে জয় পেলেও, টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। বুধবার (২৯ অক্টোবর) টি-টোয়েন্টিতে হেরে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ হাতছাড়া করেছে টাইগাররা। দেড়শ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে তানজিদ হাসান তামিমের ৬১ রানের ইনিংসের পরও অন্যান্য ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ম্যাচটি হেরে যায় স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশ হারলেও ব্যাট হাতে ৬১ রানের ইনিংস খেলে এক রেকর্ডে নাম লিখিয়েছন তানজিদ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক বছরে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছেন তিনি। মোহাম্মদ নাঈম শেখের রেকর্ড ভেঙে শীর্ষে উঠে গেছেন এই ওপেনার।
২০২১ সালে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ২৬ ম্যাচ খেলে ২৩ গড় ও ১০০.৩৪ স্ট্রাইক রেটে ৫৭৫ রান করেন নাঈম। এরপর আর এক রেকর্ডটি ছুঁতে পারেননি কেউ। এতদিন ধরে শীর্ষে ছিলেন তিনি। অবশেষে ২০২৫ সালে তানজিদ তার চেয়ে কম ইনিংস খেলেই রেকর্ডটি নিজের নামে করে নিয়েছেন।
সবশেষ ৬১ রানের ইনিংসের পর চলতি বছর তানজিদের মোট রান ৬২২। ২৩ ইনিংসেই এই রেকর্ড গড়েছেন তিনি। তার গড় ২৯.৬১, যা নাঈমের চেয়ে বেশি। তাছাড়া তানজিদের স্ট্রাইকরেটও বেশ সন্তোষজনক। নাঈমের স্ট্রাইকরেট যেখানে ১০০ এর কাছে সেখানে তানজিদের স্ট্রাইকরেট ১৩৫.২১। নাঈমের ইনিংসে ফিফটি ছিল ৩ টি, আর তানজিদ মোট ফিফটি পেয়েছেন ৬টি।
নাঈমের পর তালিকার তিনে আছেন লিটন দাস। তার সামনেও সুযোগ রয়েছে নাঈমকে ছাড়িয়ে যাওয়ার। চলতি বছর ২১ ইনিংসে ২৯.৬৮ গড় এবং ১৩২.৭০ স্ট্রাইক রেটে ৫৬৪ রান করেছেন তিনি। আর ১২ রান করতে পারলেই নাঈমকে ছাড়িয়ে দুইয়ে উঠে যাবেন এই টাইগার দলপতি।
অবশ্য ২০২২ সালেই নাঈমকে ছাড়িয়ে শীর্ষে ওঠার সুযোগ ছিল লিটনের সামনে। সে বছর ১৯ ম্যাচে ২৮.৬৩ গড় ও ১৪০.২০ স্ট্রাইক রেটে ৫৪৪ রান করেছিলেন তিনি। ওই বছর আর ৩২ রান বেশি করতে পারলেই এতদিন শীর্ষে থাকতেন এই ডানহাতি ব্যাটার।
এই তালিকার পাঁচে আছেন আফিফ হোসেন। ২০২২ সালে লিটনের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান এসেছিল তার ব্যাটে। ২১ ম্যাচে ২৯.৪১ গড়ে ৫০০ রান করেছিলেন তিনি। তার স্ট্রাইকরেট ছিল ১২৩.৭৬।
ক্রিফোস্পোর্টস/৩০অক্টোবর২৫/বিটি