ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন তানজিদ হাসান তামিম। বড় মঞ্চে দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখাই এখন তামিমের মূল লক্ষ্য। তাই আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বড় অবদান রাখতে চান ২৩ বছর বয়সী এই ওপেনার।
বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের দলের জন্য অবদান রাখার ইচ্ছা পোষণ করে তামিম বলেন, ‘ক্যারিয়ারের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত, বিশেষ করে আইসিসি ইভেন্টগুলোতে আমি আমার সক্ষমতার পুরোটা দেখাতে পারিনি। সেসব টুর্নামেন্টেও নিয়মিতভাবে অবদান রাখতে চাই।’
ভালো শুরু করতে পারলেও বড় স্কোর না করার আক্ষেপ রয়েছে তামিমের। তাই এবার নিজেকে মানসিকভাবে শক্ত করে বড় স্কোর করার লক্ষ্য তার। তামিম বলেন, ‘আগে প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই ভালো শুরু পেতাম, কিন্তু সেটাকে বড় ইনিংসে পরিণত করতে পারতাম না। এখন মানসিকভাবে আরও শক্ত থাকার চেষ্টা করছি, যেন শুরুটা বড় স্কোরে রূপ দিতে পারি।’
সম্প্রতি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য বিসিবির বিশেষ সেশনে ঘাম ঝরাচ্ছেন তামিম। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপ বা বড় কোনো ইভেন্টে প্রতিপক্ষ আমাদের বিপক্ষে কী ধরনের পরিকল্পনা নিতে পারে, কোন অঞ্চলে বোলাররা আক্রমণ করবে; এসব নিয়ে কাজ করছি।’
পাওয়ার-প্লে তে দ্রুত স্কোর তোলার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে তামিম বলেন, ‘কোচরা বারবার একটি বিষয়েই জোর দিচ্ছেন; পাওয়ারপ্লেতে কীভাবে ব্যাট করতে হবে এবং কীভাবে ফাঁক খুঁজে নেওয়া যায়।’
ব্যাটিংয়ে নিজেদের দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার জন্য চেষ্টা করছে ব্যাটাররা। নিজেদের দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার বিষয়ে তামিম বলেন, ‘অনেক সময় কম ঝুঁকির অবস্থায় অকারণে বেশি ঝুঁকি নিয়ে ফেলি, তাতে দ্রুত দুই-তিন উইকেট হারাতে হয়। তাই কম ঝুঁকিতে কীভাবে বাউন্ডারি নেওয়া যায়, স্কোরবোর্ড সচল রাখা যায় এবং আরও স্বচ্ছন্দে ব্যাট করা যায়; এসব নিয়েই কাজ করছি।’
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সদ্য শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজে ওপেনিংয়ে বিভিন্ন বিকল্প ব্যবহার করেছে বাংলাদেশ। তানজিদ মনে করেন, প্রয়োজনে সবাইকে ব্যাটিং অর্ডারে দায়িত্ব বদলাতে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।
দলের প্রয়োজনে যেকোনো জায়গায় নেমে ব্যাটিং করার কথা বলেন তামিম। তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে এখানে কেউ স্থায়ী নয়। দলের যাকে যেখানে প্রয়োজন হবে সেখানেই খেলতে হবে। শেষ সিরিজেই দেখেছেন, ওপেনারকে ৩ বা ৪ নম্বরে নেমে ব্যাট করতে হয়েছে। তাই আমি মনে করি স্থায়ী বলে কিছু নেই। দল যেটা ভালো মনে করবে সেটাই হবে।’
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নেপাল ও ইতালির সঙ্গে ‘সি’ গ্রুপে আছে বাংলাদেশ। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে ২০২৬ আইসিসি পুরুষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো করার লক্ষ্য টাইগারদের। ৭ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে বাংলাদেশ।
ক্রিফোস্পোর্টস/৯ডিসেম্বর২৫/এআই