
এবারের বিসিবি নির্বাচনে অংশ নিলে জয় নিয়ে কোনো সন্দেহে ছিল না বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও নির্বাচনে সরকারি হস্তক্ষেপ এবং অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় তৃতীয় বিভাগ বাছাই পেরিয়ে আসা ১৫টি ক্লাবের কাউন্সিলরশিপ স্থগিতের প্রতিবাদে তামিমসহ মোট ১৬ জন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। যদিও পরে কাউন্সিলরশিপ ফিরে পায় ১৫টি ক্লাব।
আজ (বুধবার) রাজধানীর লেকশোর হোটেলে ক্লাব অর্গানাইজার অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তামিম বলেন,’ আমি আপনাকে এতটুকু নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি, আমি যদি ব্যক্তিগতভাবে দাঁড়াতাম, আমি সহজেই পাস করতাম। এটা নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ ছিল না। কারণ, আমি এটা বিশ্বাস করি, আমরা সবাই ক্রিকেটের স্বার্থে আছি।’
গত সোমবার বিসিবি নির্বাচনের আগের রাতে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া তামিম কে উদ্দেশ্য করে একটি ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘ধৈর্য ধরলে অনেকেই বিসিবি পরিচালক হতে পারতেন।’ এ বিষয়ে তামিম বলেন, ‘আমি নিশ্চিত আমার বিষয়ে আপনাদের কমবেশি ধারণা আছে। আমি যদি নির্বাচনে দাঁড়াতাম, আমার জন্য কেউ ভোট করত না? আমার জন্য বাস ধরা বা না ধরা কখনো বিকল্প ছিল না। আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল একটা স্বচ্ছ নির্বাচন হওয়া। এটাই ছিল আমার স্ট্যান্ড।’
এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি নির্বাচন নানা অভিযোগের কথা জানান তামিম। ই-ভোটিংয়ের সমালোচনা করে তিনি বলেন,’আপনি ই-ভোটিং করে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কেন্দ্রে আছেন। তাহলে ই-ভোটিং করার দরকার কি?’
নির্বাচনের আগেই লিগ বর্জনের হুমকি দিয়ে রেখেছিল নির্বাচনে অংশ না নেওয়া ক্লাব অর্গানাইজার অ্যাসোসিয়েশনের একটি পক্ষ। সংবাদ সম্মেলনে ঢাকার লিগ, বিভাগীয় ও জেলার ক্রিকেটীয় কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দেয় তারা। ক্রিকেট বর্জন করলে তা ক্রিকেটারদের আর্থিক সংকটে ফেলবে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তামিম বলেন, ‘এটা যাঁরা নির্বাচন করেছে তাঁদের চিন্তা করা উচিত ছিল।’
নির্বাচনের জয়ী হওয়ার পর সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল সকলকে নিয়ে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। গতকাল অর্গানাইজার অ্যাসোসিয়েশনের লিগ বন্ধের হুমকির বর্জনের হুমকির বিষয়ে তিনি আলোচনা করে সমস্যার সমাধানের কথা জানান। তবে আজকের সংবাদ সম্মেলনের তার সেই আলোচনার প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করা হয়।
ক্রিফোস্পোর্টস/৮অক্টোবর২৫/এআই
