
বাংলাদেশের জার্সিতে অধিনায়কত্ব অধ্যায়ের ইতি টেনেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সবশেষ টেস্ট সিরিজ শেষে হুট করেই অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন এই তারকা। এর ফলে জাতীয় দলের কোনো ফরম্যাটেই আর অধিনায়ক থাকছেন না এই ব্যাটার।
টেস্টে শান্ত অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর পদটি এখনো শূন্য পড়ে আছে। পরবর্তী টেস্ট অধিনায়ক কে হবে এ নিয়েও রয়েছে জল্পনা। গুঞ্জন রয়েছে, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির দুই অধিনায়ক- মেহেদি হাসান মিরাজ ও লিটন দাসের মধ্য থেকেই একজনকে বেছে নিতে পারে বিসিবি। তাছাড়া বিসিবি তিন ফরম্যাটে ভিন্ন তিনজনকেও দায়িত্ব তুলে দিতে পারে।
তবে এরই মাঝে টেস্টে নেতৃত্বে আসার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন দলের অন্যতম অভিজ্ঞ ও সিনিয়র ক্রিকেটার তাইজুল ইসলাম। বোর্ড চাইলে টেস্টে অধিনায়কত্ব নিতে রাজি এই স্পিনার। সম্প্রতি ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়া এই স্পিনার।
আরও পড়ুন:
» বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ রবিবার, টিকিট মিলছে আজ থেকেই
» ১২৮ বছর পর অলিম্পিকে ফিরল ক্রিকেট, সময়সূচি ঘোষণা
তাইজুল বলেন, ‘আমার মতে অধিনায়কের জায়গাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং তার সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। দল যখন অধিনায়কের ওপর ভরসা করে খেলে, তখন ফলাফল ভালো হয়। যদি (নেতৃত্বের) সুযোগ আসে, আমার অভিজ্ঞতা আছে, এমন কোনো দিক নেই যেটা আমার মধ্যে অনুপস্থিত। মনে হয় না দলের প্রয়োজনে এমন কিছু আছে যা আমি করতে পারব না। তবে আমি বলছি না যে আমি অধিনায়কত্বের জন্য লোভ করছি।’
তবে বোর্ড চাইলে দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত তাইজুল, ‘টেস্টের অধিনায়কত্ব কোনো আকর্ষণীয় কিছু নয়। একজন অধিনায়কের দৃষ্টিভঙ্গি থাকা দরকার, সে কেমন দল চায়, দুই বছর পর দলকে কোথায় দেখতে চায় এই লক্ষ্য ঠিক করাই আসল। এই বিষয়গুলো টিম ম্যানেজমেন্ট ও বোর্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ভাবতে হবে এবং তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন। যদি (নেতৃত্বের) সুযোগ আসে, আমি কেন না বলব?’
মূলত জাতীয় দলে তিন ফরম্যাটে তিন ভিন্ন অধিনায়কের বিষয়টি পছন্দ নয় শান্তর। এমন কারণ দেখিয়েই টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন তিনি। তবে এবার দেখার পালা, মিরাজ কিংবা লিটন নেতৃত্বে আসবেন নাকি নতুন করে তিন অধিনায়কের পথেই হাঁটে বিসিবি! সেক্ষেত্রে তাইজুলেরও নেতৃত্বে আসার দারুণ সুযোগ রয়েছে।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৫জুলাই২৫/বিটি
