
দেড় বছর আগেও এই একই মাঠে বার্সেলোনার স্বপ্ন ভেঙেছিল প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। ২০২৪ সালের এপ্রিলে এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে ৪–১ গোলে জিতে কাতালানদের বিদায় নিশ্চিত করেছিল তারা। সময় গড়িয়েছে, চ্যাম্পিয়নস লিগের ফরম্যাটও বদলেছে। তবে একই মঞ্চে আবারও হতাশার গল্প লিখল বার্সেলোনা। লিগ পর্বের ম্যাচে ৯০তম মিনিটে গনসালো রামোসের গোলে ২–১ ব্যবধানে জয় তুলে নিল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচের শুরুতে বার্সেলোনা ছিল এগিয়ে। নিজেদের মাঠে আক্রমণাত্মক খেলা চালিয়ে যায় তারা। ১৯তম মিনিটে মার্কাস রাশফোর্ডের নিখুঁত পাস ধরে গোল করেন ফেরান তোরেস। অফসাইড ফাঁদ কাটিয়ে শেভালিয়েকে পরাস্ত করে দর্শকদের উল্লাসে ভাসান তিনি।
কিন্তু পিএসজি ভেঙে পড়েনি। প্রথমার্ধের শেষ দিকে ম্যাচের গতি পাল্টে যায়। বাঁ দিক দিয়ে নুনো মেন্দেসের দুর্দান্ত দৌড়, এরপর নিখুঁত পাস সেনি মায়ুলুর কাছে। মাত্র ১৯ বছরের এই তরুণ ঠান্ডা মাথায় শট নিয়ে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে চাপ ধরে রাখে বার্সেলোনা। কয়েকবার দারুণ সুযোগও তৈরি হয়। তবে ভাগ্য সঙ্গ দেয়নি। ৮৩তম মিনিটে বদলি লি কাং-ইনের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। সেই মুহূর্তেই যেন ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়।
শেষ মিনিটগুলোতে আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ে পিএসজি। ৯০তম মিনিটে ডান দিক থেকে আশরাফ হাকিমির ক্রস ধরে কাছ থেকে জোরালো শটে জালের ঠিকানা খুঁজে পান রামোস। বার্সার ডিফেন্ডাররা হতবাক, গ্যালারিতে স্তব্ধতা অতিথিদের জয় তখন প্রায় নিশ্চিত।
আশ্চর্যের বিষয়, এদিন পিএসজি খেলেছে বড় তারকাদের ছাড়াই। চোটের কারণে ছিলেন না উসমান দেম্বেলে, খভিচা কাভারাত্সখেলিয়া কিংবা অধিনায়ক মার্কিনিয়োস। এমনকি নতুন প্রতিভা দেজিরে দুয়েওকে নিয়েও নামতে পারেনি দলটি। তবুও দ্বিতীয়বারের মতো এই মাঠে বার্সেলোনাকে হারিয়ে দিল তারকাহীন প্যারিসিয়ানরা।
এই জয়ে টানা দুই ম্যাচে জেতা পিএসজি গোল ব্যবধানে তিন নম্বরে উঠে গেছে। তাদের ওপরে আছে শুধু বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদ। অন্যদিকে প্রথম হারের ধাক্কায় ১৬ নম্বরে নেমে গেছে বার্সেলোনা।
কাতালান ক্লাবের সমর্থকদের কাছে তাই এই হারের যন্ত্রণা অনেকটা একই মাঠে, একই প্রতিপক্ষের কাছে আবারও শেষ মুহূর্তে ভেঙে পড়ার হতাশা।
ক্রিফোস্পোর্টস/২অক্টোবর২৫/টিএ
