অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণে বড় দুই নাম প্যাট কামিন্স ও জশ হ্যাজলউড ছিলেন না। তবু পার্থ টেস্টের প্রথম দিনটা অস্ট্রেলিয়ার পক্ষেই থাকলো। বাঁহাতি পেসার মিচেল স্টার্ক একাই নিয়ে নিলেন ৭ উইকেট। ইংল্যান্ড থেমে গেল ১৭২ রানে।
৩২.৫ ওভারে অলআউট হওয়ার ঘটনা অ্যাশেজ ইতিহাসে ইংল্যান্ডের জন্য দ্বিতীয় দ্রুততম ইনিংস। এর আগে ১৩৮ বছর আগে ১৮৮৭ সালের এক ম্যাচে তারা আরও কম ওভারে আউট হয়েছিল।
এদিন দিনের শুরুতেই ঝড় তোলেন মিচেল স্টার্ক। নিজের প্রথম ওভারেই ফেরান জ্যাক ক্রলিকে। প্রথম ওভারে উইকেট নেওয়ার তালিকায় তিনি এখন দ্বিতীয় (২৪ বার)। এগিয়ে শুধু জেমস অ্যান্ডারসন (২৯)। এরপর বেন ডাকেটকেও আউট করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় অস্ট্রেলিয়া।
ইংল্যান্ড সবচেয়ে বড় ধাক্কা খায় জো রুটের আউটের মধ্য দিয়ে। জো রুটকে শূন্য রানে ফেরান মিচেল স্টার্ক। রুটের আজকের লক্ষ্য ছিল অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি, কিন্তু স্টার্কের জন্য রুটের সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল।
স্টার্কের আরেক শিকার বেন স্টোকস। তাকে করেন বোল্ড আউট। টেস্টে স্টোকসকে দশবার আউট করলেন তিনি এর মধ্যে পাঁচবারই বোল্ড আউট। স্টোকস ফেরার সময় ইংলিশদের সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ১১৫।
হ্যারি ব্রুক তখন ৩৬ রানে লড়াই করছিলেন। তাকে আউটের কৃতিত্ব অবশ্য বেন ডগেটের। তবে শেষের দিকে আবারও স্টার্ক ঝড়। গাস আটকিনসন, মার্ক উড এবং জেমি স্মিথ তিনজনকেই সাজঘরে পাঠিয়ে ৫৮ রানে ৭ উইকেট নিয়ে নিজের ক্যারিয়ারসেরা বোলিং ফিগার গড়লেন তিনি। এর আগে পার্থে কোনো বোলারের এমন স্পেল ছিল না।
স্টার্কের অগ্নিঝড়া বোলিংয়ের পর দ্রুত ইনিংস গুটিয়ে যাওয়ায় বিরল এক পরিস্থিতি তৈরি হয় অস্ট্রেলিয়ার জন্য। বেশি সময় মাঠের বাইরে থাকার কারণে নিয়ম অনুযায়ী সঙ্গে সঙ্গে ব্যাট করতে পারেননি ওপেনার উসমান খাজা। ফলে অভিষিক্ত জেক ওয়েদারেল্ডের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন মার্নাস লাবুশেন।
অস্ট্রেলিয়ার মতো ইংল্যান্ডও ইনিংসের প্রথম ওভারেই শূন্য রানে হারিয়েছে উইকেট। ওয়েদারেল্ডকে আউট করেছেন জফরা আর্চার। তারপর আউট হন লাবুশেনে। স্মিথ ও খাজাকে আউট করেন বাইডেন কার্স। ৩১ রানে ৪ উইকেট হারিয়েও অস্ট্রেলিয়াও বড় জুটির সন্ধানে আছে।
ক্রিফোস্পোর্টস/২১নভেম্বর২৫/টিএ