পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম তৈরির পরিকল্পনা ছিল বহুদিনের। ২০৩১ ওয়ানডে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে কাজ এগোনোর কথা থাকলেও শুরু থেকেই নানা অনিয়ম–অব্যবস্থাপনার খবর সামনে এসেছে। এবার নতুন অভিযোগ সামনে আসলো। স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য কেনা ২০ হাজার ঘনফুট মাটির মধ্যে প্রায় ১৩ হাজার ঘনফুট ঘাটতি পাওয়া গেছে।
এই পরিস্থিতি যাচাই করতে মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখতে যান বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাসুদ পাইলট, ক্রিকেট অপারেশন্স ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফিস এবং বয়সভিত্তিক বিভাগের প্রধান আসিফ আকবর। নির্ধারিত জায়গা ঘুরে দেখার পর পাইলট গণমাধ্যমকে জানান, অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে আলাদা তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

পাইলটের মতে, তদন্তে কোনো পক্ষপাতের সুযোগ রাখা হবে না। তিনি জানান, তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব বিসিবি সভাপতির কাছে পাঠানো হবে। কমিটিতে বিসিবির প্রতিনিধির পাশাপাশি থাকবে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যও, যাতে পুরো প্রক্রিয়া স্বচ্ছ থাকে।
মাটি ঘাটতির বিষয়টি নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেন পাইলট। তার দাবি, নথিপত্র অনুযায়ী প্রায় ২০ হাজার সিএফটি মাটি থাকার কথা ছিল, কিন্তু পরিমাপ শেষে দেখা গেছে মাত্র সাড়ে ৭ হাজারের মতো রয়েছে। দায়িত্ব গ্রহণের আগেই এমন অনিয়মের কথা তিনি শুনেছিলেন, তবে মাঠে এসে তা সরাসরি দেখতে পেরেছেন।
এদিকে ২০৩১ বিশ্বকাপের আয়োজনকে ঘিরে নতুন করে স্টেডিয়াম তৈরির পরিকল্পনা করছিল বিসিবি। তারই ধারাবাহিকতায় পূর্বাচলে স্টেডিয়াম গড়ার কাজ শুরু করেছিল বিসিবি। তবে স্টেডিয়ামের কাজ দীর্ঘদিন ধরে ধীরগতিতে চলছে। এবার মাটি চুরির ঘটনা সামনে আসায় প্রকল্পটি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। বিসিবির তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করলে বিষয়টির বিস্তারিত চিত্র সম্পর্কে জানা যাবে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সাল থেকে ইতিমধ্যেই আগামী ৮টি বৈশ্বিক আসরের আয়োজকের নাম ঘোষণা করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা। ২০৩১ সালে ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশকে আয়োজক হিসেবে ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
ক্রিফোস্পোর্টস/১০ডিসেম্বর২৫/টিএ