নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ পরিস্থিতি দেখা দেওয়ায় পাকিস্তান সফর অসমাপ্ত রেখেই দেশে ফিরে যাচ্ছেন শ্রীলঙ্কা দলের অন্তত আটজন ক্রিকেটার। দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের (এসএলসি) এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্তা সংস্থা এএফপিকে।
এই সিদ্ধান্তের পর পাকিস্তান–শ্রীলঙ্কার চলমান ওয়ানডে সিরিজ এবং আসন্ন ত্রিদেশীয় টি–টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
মূলত ঘটনার সূত্র মঙ্গলবার ইসলামাবাদের আদালত কমপ্লেক্সের বাইরে ভয়াবহ আত্মঘাতী বোমা হামলা থেকে। সেখানে ১২ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হন। হামলার স্থান রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়াম থেকে মাত্র ১৭ কিলোমিটার দূরে যেখানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে সিরিজের ম্যাচগুলো।
হামলার পর স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সফরকারী শ্রীলঙ্কান শিবিরে। তবে দলকে আশ্বস্ত করতে ম্যাচ চলাকালেই রাওয়ালপিন্ডিতে হাজির হন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান ও দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি। তিনি নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার নির্দেশ দেন এবং নিরাপত্তার স্বার্থে সেনাবাহিনী ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী রেঞ্জার্সকে মাঠে নামানো হয়।
তবুও, একাধিক শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার নিরাপত্তা নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। এসএলসির এক সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবারের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তবে বোর্ড বিকল্প খেলোয়াড় পাঠানোর পরিকল্পনা করছে, যাতে পরবর্তী ত্রিদেশীয় সিরিজ চালিয়ে নেওয়া যায়।
এসএলসির সভাপতি শাম্মি সিলভা বলেছেন, “আমরা পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। সিরিজ চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা শিগগিরই দেওয়া হবে।”
যদিও ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। যেখানে শ্রীলঙ্কা দলকে শেষ ওভারে গিয়ে ৬ রানে পরাজিত করেছে পাকিস্তান। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও স্বাগতিকরা ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। একই মাঠে আজ দ্বিতীয় এবং শনিবার তৃতীয় ওয়ানডে হওয়ার কথা ছিল।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কা দলের বাসে সন্ত্রাসী হামলার পর প্রায় ছয় বছর পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বন্ধ ছিল। সেই ভয়াবহ স্মৃতি আবারও শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের মনে নতুন করে আতঙ্কের জন্ম দিয়েছে। এই নিরাপত্তা শঙ্কা থেকেই তারা দেশে ফিরে যেতে চাচ্ছে।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৩নভেম্বর২৫/টিএ