
চলতি এশিয়া কাপে সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে আজ (শনিবার) শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান সংগ্রহ করেছে লঙ্কানরা।
দুবাইয়ে আগে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত শুরু পেয়েছিল শ্রীলঙ্কা। তবে ১০ ওভারের মধ্যে তিনটি উইকেট তুলে নিয়ে লঙ্কান ব্যাটারদের চেপে ধরে টাইগার বোলাররা। প্রথম ১০ ওভারে তাদের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ৭২ রান। তবে পরের ১০ ওভারে দারুণ প্রত্যাবর্তন করে লঙ্কান ব্যাটাররা। দাসুন শানাকার ফিফটি ও চারিথ আসালাঙ্কার ক্যামিও ইনিংসে শেষ ৬০ বলে ৯৬ রান তুলে নেয় তারা।
এদিন উদ্বোধনী জুটিতে ৪৪ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। ইনিংসের পঞ্চম ওভারের শেষ বলে পাথুম নিসাঙ্কাকে ফিরিয়ে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন তাসকিন আহমেদ। ১৫ বলে ৩ চার ১ ছক্কার মারে ২২ রান করে ফিরেন এই মারকুটে ওপেনার।
ইনিংসের ৮ম ওভারে দলীয় ৫৮ রানের মাথায় বাংলাদেশকে দ্বিতীয় ব্রেকথ্রু এনে দেন শেখ মেহেদি। এবার ফেরেন আরেক ওপেনার কুশল মেন্ডিস। আগের ম্যাচে ফিফটি হাকানো এই ওপেনার আজ ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ২৫ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কার মারে ৩৪ রান করেন।
তিনে নামা কামিল মিশরাও আজ সুবিধা করতে পারেননি। মেহেদি তার পরের স্পেলে এসেই তাকে ফেরান। ১১ বল খেলে মাত্র ৫ রান করে ফেরেন এই ব্যাটার। এরপর কুশল পেরেরা ও দাসুন শানানা মিলে ২৭ বলে ৩২ রান যোগ করেন। ১৪তম ওভারে দলীয় ৯৭ রানে এই জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজ। ১৬ বলে ১৬ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কুশল পেরেরা।
পরবর্তীতে ম্যাচের হাল ধরেণ শানাকা ও আসালঙ্কা। ৫ম উইকেট জুটিতে ২৭ বলে ৫৭ রান যোগ করেন তারা। আর তাতেই বড় পুঁজি পায় দলটি। শেষদিকে আসালাঙ্কা ১২ বলে ২২ রান করে ফিরে গেলেও শানাকা খেলেন শেষ পর্যন্ত। ৩৭ বলে ৩ চার ও ৬ ছক্কার মারে ৬৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন এই পেসার। শেখ মেহেদিও ছিলেন অসাধারণ। ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন এই স্পিনার। এছাড়া একটি উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ।
ক্রিফোস্পোর্টস/২০সেপ্টেম্বর২৫/বিটি
