রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে ৬ রানের জয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে উঠেছে শ্রীলঙ্কা। ১৮৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শেষ ওভারে এসে আটকে যায় স্বাগতিকরা। ইনিংসের শেষ বলে প্রয়োজন ছিল বড় শট, কিন্তু দুশমন্থ চামিরার ধারাবাহিক ইয়র্কার সামলাতে পারেনি পাকিস্তান।
ম্যাচের শুরুতেও পাকিস্তানকে বিপদে ফেলে দেন এই পেসার। পাওয়ার-প্লে’তেই তিনি তুলে নেন তিন উইকেট ফারহান ৯, বাবর শূন্য, ফখর মাত্র ১ রানে আউট হয়ে ফিরে যান। পাকিস্তানের ইনিংসে তখনো বড় পার্টনারশিপ পায়নি। সাইম আইয়ুব ১৮ বলে ২৭ রান করে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েছিলেন, কিন্তু ইশান মালিঙ্গার বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।
চতুর্থ উইকেট হারানোর পর দায়িত্ব নেন অধিনায়ক সালমান আলী আঘা ও উসমান খান। দুজন মিলে স্কোরবোর্ড সচল রাখলেও ৫৬ রানের জুটি ভাঙেন হাসারাঙ্গা। উসমান থামেন ২৩ বলে ৩৩ রানে। এরপর নাওয়াজকে সঙ্গে নিয়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেন সালমান। নাওয়াজ ১৬ বলে ২৭ রান করে পাকিস্তানকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে আসলেও শেষ মুহূর্তে আর জয়ের দেখা পায়নি তারা।
এদিকে শেষ ওভারে পাকিস্তানের দরকার ছিল ১০ রান। উইকেটে সেট ব্যাটারও ছিল। কিন্তু চামিরার দুর্দান্ত বোলিংয়ে সালমান ও ফাহিম আশরাফরা ৩ রানের বেশি নিতে পারেনি। চার ওভারে ২০ রান খরচে ৪ উইকেটের আগুনে স্পেলে পাকিস্তানের জয়ের আশা শেষ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান থামে ১৭৮ রানে। শ্রীলঙ্কা জয় পায় ৬ রানে।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা বড় সংগ্রহ দাড় করায়। কামিল মিশারার ৭৬ ও কুশল মেন্ডিসের ৪০ রানের ইনিংস দলকে নিয়ে যায় ১৮৪ রানে। পাকিস্তানের হয়ে বল হাতে আব্রার আহমেদ নেন দুই উইকেট।
এদিকে ব্যর্থতার দায়ে ফিরে যেতে হচ্ছে জিম্বাবুয়েকেও, কারণ পাকিস্তান জিতলে ফাইনালের টিকিট পেত তারা। এখন শ্রীলঙ্কা জিতে যাওয়ায় ফাইনালে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। এর আগে টানা ৩ ম্যাচ জিতে ফাইনাল নিশ্চিত করে রেখেছিল স্বাগতিকরা।
আগামী ২৯ নভেম্বর ফাইনালে আবার মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৮নভেম্বর২৫/টিএ