অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করলেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। প্রধান উপদেষ্টা তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন প্রেসসচিব শফিকুল আলম।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের প্রতিনিধি হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে জায়গা পাওয়া তিনজনের একজন ছিলেন আসিফ মাহমুদ। তিনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছিলেন।
গত বছরের আগস্টে আফিফ মাহমুদ ক্রীড়া উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্বে আসার পর দেশের ক্রীড়াঙ্গনে বেশকিছু পরিবর্তন এসেছে। বিশেষ করে দেশের ফুটবলের জাগরণে তার অবদান অনেক। ফুটবলের অবকাঠামোগত উন্নয়নে বড় ভূমিকা রেখেছেন।
জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রাণ ফেরাতে বড় ভূমিকা ছিল আসিফ মাহমুদের। ২০২১ সাল থেকে সংস্কার কার্যক্রম চলছিল জাতীয় স্টেডিয়ামের। তবে বারবার বাজেট বাড়ানো ও মেয়াদ বাড়িয়েও অনিয়মের কারণে পুরোপুরি সংস্কার করা যায়নি স্টেডিয়ামটি। এরপর আসিফ মাহমুদের হাত ধরেই অনিয়ম দূর করে কাজের গতি বাড়ানো হয় এবং নতুন করে প্রাণ ফিরে পায় জাতীয় স্টেডিয়াম।
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর জুনে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যকার একটি প্রীতি ম্যাচ দিয়ে পুনরায় আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেরে এই মাঠে। এরপর থেকেই নিয়মিত ম্যাচ আয়োজিত হচ্ছে জাতীয় স্টেডিয়ামে। ২০২৭ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের হোম ম্যাচগুলো জাতীয় স্টেডিয়ামেই খেলেছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচগুলোতে দর্শকদের অংশগ্রহণ ছিল আকাশছোঁয়া। এছাড়া নারী দলের ফুটবলও আয়োজিত হচ্ছে এই মাঠে।
এর বাইরেও দেশের বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোর সংস্কার, ফেডারেশনগুলোর জবাবদিহিতা বাড়ানো, দেশের তৃনমুল পর্যায়ে খেলাধুলা পৌঁছে দিতে উদ্যোগসহ আরও অসংখ্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তাছাড়া খেলোয়াড়দের উৎসাহ বাড়াতে কোনো জয় বা বড় অর্জনের পর অর্থ পুরস্কারও ঘোষণা করেন তিনি। সবমিলিয়ে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে এক উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনে পদত্যাগ করলেন আসিফ মাহমুদ।
ক্রিফোস্পোর্টস/১০ডিসেম্বর২৫/বিটি