নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে আবারও হতাশায় শেষ হলো দক্ষিণ আফ্রিকার যাত্রা। রবিবার ভারতের কাছে ৫২ রানে হেরে তৃতীয়বারের মতো কোনো আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনালে ট্রফি পাওয়ার স্বপ্ন থেমে গেল প্রোটিয়াদের। তবুও দলের অধিনায়ক লরা উলভার্ডের চোখে ভবিষ্যৎ নিয়ে যথেষ্ট সম্ভাবনা দেখছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা নারী দল গত তিনটি বড় আইসিসি আসরেই রানার্সআপ হয়েছে।২০২৩ ও ২০২৪ সালের নারী টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এবার ২০২৫ সালের নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপেও তাদের স্বপ্নপূরণ হল না। ধারাবাহিকভাবে বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠলেও ট্রফির দেখা এখনো মেলেনি।
ফাইনালের পর সংবাদমাধ্যমে উলভার্ড বলেন, “ভারতের বিপক্ষে হেরে যাওয়া অবশ্যই কষ্টের, কিন্তু আমি দলের উন্নতি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি। ২০২৩ সালের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকেই আমাদের গঠনমূলক পরিবর্তন শুরু হয়। তখন থেকেই ঘরোয়া ক্রিকেটে চুক্তিভিত্তিক খেলোয়াড় যোগ হওয়ায় দলের গভীরতা বেড়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আগে একবার ফাইনালে উঠতে পারলেই সেটা বড় কিছু মনে হতো। এখন আমরা টানা তিনটি আসরের ফাইনাল খেলেছি। এটা দেখায় যে আমরা নিয়মিতভাবে উন্নতি করছি। আশা করি, এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারলে একদিন শিরোপাও আসবে।”
ব্যাট হাতে পুরো টুর্নামেন্টে দারুণ ফর্মে ছিলেন লরা উলভার্ড। তিনি ৫৭১ রান করে ভেঙেছেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যালিসা হিলির এক আসরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। তাঁর গড় ছিল ৭১.৩৭।
দলের অন্য সদস্যরাও ছিলেন ছন্দে। তাজমিন ব্রিটস, সুনে লুস ও মারিজান ক্যাপ তিনজনই করেছেন ২০০ রানের বেশি। বোলিংয়ে ননকুলুলেকো ম্লাবা ১৩টি ও মারিজান ক্যাপ নিয়েছেন ১২টি উইকেট।
উলভার্ড বলেন, “পুরো টুর্নামেন্টটা আমাদের জন্য দারুণ ছিল। পাঁচটি ম্যাচ টানা জেতা আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়িয়েছে। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে আমরা প্রায়ই ধারাবাহিকতা হারিয় ফেলি, কিন্তু বড় টুর্নামেন্টে এবার সেটা ধরে রাখতে পেরেছি। এটা দলের জন্য ইতিবাচক ইঙ্গিত।”
দক্ষিণ আফ্রিকা নারী দল এখনও আইসিসি ট্রফির স্বাদ পায়নি, তবে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স ও দলের গঠন দেখে উলভার্ড মনে করেন, তাদের সময় আর বেশি দূরে নয়। একদিন না একদিন তারা শিরোপা জিতবেই।
ক্রিফোস্পোর্টস/৩নভেম্বর২৫/টিএ